Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

khulna-newsখুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. ওয়াহিদুজ্জামানের বিরুদ্ধে যৌতুক দাবিতে স্ত্রী ও সন্তানের ওপর শারীরিক নির্যাতন করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।

মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ২০১৫ সালের ২৭ মার্চ সহকারী অধ্যাপক মো. ওয়াহিদুজ্জামানের সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় যশোরের পালবাড়ী এলাকার মো. আবদুর রাজ্জাকের মেয়ে জান্নাত আরা ফেরদৌসের। বিয়ের পর থেকে যৌতুক দাবি করেন ওয়াহিদুজ্জামান। এমনকি স্কলারশিপে অস্ট্রেলিয়ায় যাওয়ার জন্য ১০ লাখ টাকা চাইলে সেটি দিতে অস্বীকার করায় স্ত্রী ও সন্তানের ওপর অত্যাচার চালানো হয়।

chardike-ad

বিয়ের কিছুদিন পর ওয়াহিদুজ্জামান স্ত্রীকে গাজীপুরের বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। এ সময় স্ত্রীর কাছ থেকে কৌশলে মোবাইল ফোন নিয়ে নেন তিনি। চলতি বছরের ১ মার্চ অস্ট্রেলিয়ায় যাওয়ার জন্য ১০ লাখ টাকা চাইলে সেটি দিতে অস্বীকার করায় স্ত্রী জান্নাত ও ছেলে জাবিরকে মারধর করে বের করে দেন ওয়াহিদুজ্জামান।

মঙ্গলবার খুলনা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন জান্নাত। পাশাপাশি তিনি বলেন, ‘খুবির বরখাস্তকৃত এক শিক্ষকের সঙ্গে ওয়াহিদুজ্জামানের অনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে। যা আমি নিজেই প্রত্যক্ষদর্শী। এ ছাড়া ২০ মার্চ ডিভোর্স দেয়া হয়েছে বলে ওয়াদিজ্জুমান দাবি করলেও সেটি সত্য নয়। মূলত আমরা পারিবারিকভাবে কোনো উপায় না পেয়ে চলতি বছরের ৬ জুলাই যৌতুকের বিরুদ্ধে মামলা করি। কিন্তু ওয়াহিদুজ্জামান অর্থের বিনিময়ে সব কিছু ধামাচাপার চেষ্টা করছে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, জান্নাত আরা ফেরদৌসের বড় বোন মাহফুজা খানম, ভাই হোজায়ফা আল মাহমুদ ও শিশুপুত্র জাবির জাওয়াদ।

তবে জান্নাতের স্বামী খুবির গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ওয়াহিদুজ্জামান এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, যৌতুক দাবি করার অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আমি কোনো নির্যাতন করিনি। বরং আমার উপর নির্যাতন হয়েছে। এ ব্যাপারে আমি গত বছরের ২১ অক্টোবর খুলনা থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছি। এছাড়া গত ২০ মার্চ তাকে আইনিভাবে তালাক দিয়েছি।