তখনও সন্তানের জন্ম দেননি তিনি। শারীরিক বিভিন্ন সমস্যা নিয়েও ভুগছিলেন নয় মাসের ওই অন্তঃসত্ত্বা। তার মধ্যেই ল্যাপটপ নিয়ে বসে পড়লেন তিনি। অন্তঃসত্ত্বার এমন কাণ্ড দেখে অবাক হাসপাতালের চিকিৎসকরাও। কিন্তু যখন তারা জানতে পারলেন ঠিক কী কারণে তরুণী ওই অবস্থাতেও ল্যাপটপ নিয়ে বসেছেন, বাহবা না জানিয়েও পারেননি।
ঘটনাটি ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রের কানসাসে। অন্তঃসত্ত্বা তরুণীর নাম নেজিয়া থমাস। তিনি জনসন কান্ট্রি কমিউনিটি কলেজের সাইকলোজির ছাত্রী। কলেজে পড়ার সময়েই অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। এবং তারপরেও পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছিলেন।
কয়েকদিন আগেই পেটের যন্ত্রণা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন নেজিয়া। কিন্তু তার পরীক্ষা ছিল সামনেই। এদিকে গবেষণার কাজ তখনও শেষ হয়নি। তাই ওই অবস্থাতেও হাসপাতালের বিছানায় বসে তিনি গবেষণার কাজ শেষ করছিলেন। পরে সেখানেই সন্তানের জন্ম দেন।
পরীক্ষা দেয়ার ছবি নিজেই টুইট করেন নেজিয়া। ছবির সঙ্গে মজা করে তিনি জানান, এই ছবিটা আমার মা তুলেছে। এই মুহূর্তে আমার জীবনের একদম ঠিকঠাক ব্যাখ্যা দিচ্ছে এই ছবিটা। আমিও সন্তানসম্ভবা, তবে আমার ফাইনাল পরীক্ষা এখনও শেষ হয়নি।
তিনদিন পরে আর একটি টুইট করে নেজিয়া জানান, তিনি সফলভাবে গবেষণার কাজ শেষ করেছেন এবং সম্পূর্ণ সুস্থ সন্তানের জন্মও দিয়েছেন। কঠিন সময়গুলোয় পাশে থাকার জন্য নেজিয়া তার স্বামীকেও ধন্যবাদ জানিয়েছেন টুইটে।
নেজিয়া দু’টি টুইটই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে ইতোমধ্যেই ভাইরাল হয়ে গেছে। লক্ষাধিক মানুষ সেটি লাইক ও রিটুইট করেছেন। নেটিজেনরা অনেকেই জানিয়েছেন, নেজিয়ার কাহিনি যে কোনো লড়াকু মানুষের কাছেই দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।