প্রতিপক্ষের কোনো বোলার যদি একাই সাত উইকেট নিয়ে নেন, তাহলে বিপদে পড়া ছাড়া আর কী-ইবা করার আছে! ওয়ালটন জাতীয় ক্রিকেট লিগের চলতি রাউন্ডে বিপদে পড়া ছাড়া কিছু করতেও পারেনি ঢাকা বিভাগ।
বিকেএসপিতে বুধবার থেকে শুরু হওয়া ম্যাচের প্রথম ইনিংসে মাত্র ১১৩ রানে গুটিয়ে গেছে তারা। ঢাকাকে এমন বিপদে ফেলার পিছনে খুলনার হয়ে আলো ছড়িয়েছেন মেহেদি হাসান মিরাজ। একে একে সাত উইকেট তুলে নিয়েছেন তিনি। মোস্তাফিজ ও আব্দুর রাজ্জাক যদি বাকি তিন উইকেট না নিতেন, কে জানে ১০টাই হয়তো তুলে নিতেন মিরাজ!
ঢাকার ইনিংসে অবশ্য প্রথম আঘাতটা হেনেছেন মোস্তাফিজুর রহমান। ঢাকার স্কোরবোর্ডে তখন মাত্র উঠেছে চার রান। এর মধ্যেই ওপেনার রনি তালুকদারকে ফেরান তিনি। দ্বিতীয় উইকেটটাও নেন মোস্তাফিজ। এবার তার শিকারে পরিণত হন মোহাম্মদ জাহিদু্জ্জামান।
ম্যাচের এ পর্যায়ে মনে হয়েছিলো দীর্ঘ পরিসরের ক্রিকেটে অনেক দিন পর দুর্দান্ত বোলিং করতে যাচ্ছেন মোস্তাফিজ। আদতে তা হয়নি। আব্দুর রাজ্জাক তিন নম্বর উইকেটটা নেয়ার পরই দৃশ্যপটে হাজির হন মেহেদি হাসান মিরাজ।
শুভাগত হোম চৌধুরীকে বোল্ড করে শুরু করেন তিনি। এরপর একে একে রাকিবুল হাসান, নাদিফ চৌধুরী, শরিফ, তাইবুর পারভেজ, নাজমুল অপু ও শাহাদাত হোসেনকে তুলে নেন মিরাজ। বিকেএসপির উইকেটে মিরাজ হয়ে উঠেছিলেন দুরূহ-দুর্বোধ্য। তার এমন বোলিংয়ের পর আসলে ঢাকার করার কিছুই ছিলো না।
মিরাজ শেষ পর্যন্ত ২৪ রানে সাত উইকেট নেন। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে এটাই মিরাজের ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড। পরে খুলনা তাদের ইনিংস শুরু করে। প্রথম দিন শেষে কোনো উইকেট না হারিয়ে চার ওভার পাঁচ বলে ২৩ রান করেছে তারা।