পরিসংখ্যান ছিল আর্জেন্টিনার পক্ষেই। দু’দলের মুখোমুখি ৭ দেখায় আর্জেন্টিনার ৫ জয়ের বিপরীতে নাইজেরিয়া জয় ছিল মাত্র ১টি। তবে মাঠে যে পরিসংখ্যান সব সময় কাজে লাগে না তা আরও একবার প্রমাণিত হল। নাইজেরিয়ার সামনে দাঁড়াতেই পারলো না দুইবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। ফলে পিছিয়ে থেকেও মেসিহীন আর্জেন্টিনাকে ৪-২ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে নাইজেরিয়া।
রাশিয়ার ক্রাসনোদার স্টেডিয়ামে শুরুটা দুর্দান্ত করে আর্জেন্টিনা। মেসিকে ছাড়াই প্রতিপক্ষ শিবিরে একের পর এক আক্রমণ চালাতে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় ম্যাচের ২৭ মিনিটে নাইজেরিয়া গোলরক্ষক ড্যানিয়েল আকপেয়ির ভুলে দলকে লিড এনে দেয় বানেগো। ডি-বক্সের ঠিক বাইরে আকপেয়ি হাত দিয়ে বল ধরলে ফ্রি-কিক পায় আর্জেন্টিনা। দারুণ শটে বল জালে পাঠান সেভিয়ার এই মিডফিল্ডার।
ম্যাচের ৩৬ মিনিটে ভ্যভধান ব্যবধান দ্বিগুণ করেন আগুয়েরো। ডান দিক থেকে ক্রিশ্চিয়ান পাভোনের ক্রস পেয়ে ছয় গজ বক্সের ঠিক বাইরে থেকে গোলটি করেন আগুয়েরো। আর এ গোলে হার্নান ক্রেসপোকে ছাড়িয়ে ৩৬ গোল নিয়ে এককভাবে তৃতীয় স্থানে বসেন ম্যানচেস্টার সিটির এই তারকা।
তবে বিরতির ঠিক আগে ব্যবধান কমান ইহেনাচো। ডি বক্সের বাইরে থেকে লেস্টার সিটির এই ফরোয়ার্ড ফি কিকে বল জালে জড়ান। গোলরক্ষক আগুস্তিন মার্চেসিন ঝাঁপিয়ে বলে হাত লাগালেও ঠেকাতে পারেননি।
বিরতি থেকে ফিরে ছন্দ ফিরে পায় নাইজেরিয়া। দ্বিতীয়ার্ধে দুই মিনিটের ব্যবধানে দুবার বল জালে পাঠিয়ে এগিয়ে যায় নাইজেরিয়া। ম্যাচের ৫২ মিনিটে ইহেনাচোর পাস পেয়ে কোনাকুনি শটে লক্ষ্যভেদ করেন আর্সেনালের ফরোয়ার্ড আইওবি। দুই মিনিট ইহেনাচোর পাস পেয়ে ডি-বক্সে ঢুকে প্রথম সুযোগে নেওয়া শটে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন বদলি নামা ডিফেন্ডার ব্রায়ান আইডোয়ু।
ম্যাচের ৭৪ মিনিটে আইওবি নিজের দ্বিতীয় ও দলের হয়ে চতুর্থ গোল করলে ম্যাচে ফেরার আশা শেষ হয়ে যায় আর্জেন্টিনার। বাকি সময় আর কোন গোল না হলে নিজেদের শেষ ৭ ম্যাচে অপরাজিত আর্জেন্টিনা হারের স্বাদ নিয়েই মাঠ ছাড়ে।