জয় যে একটি দলগত প্রচেষ্টার ফসল সেটা আজ রোববার আরো একবার প্রমাণ করেছে খুলনা টাইটান্স। টস হেরে প্রথম ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি তাদের। ৬৮ রানেই হারিয়ে বসেছিল ৪ উইকেট। টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যান চাদউইকট ওয়ালটন (৫), নাজমুল হোসেন শান্ত (৯) ও ক্লিঞ্জার (২) মিলে ১৬ রান করেন।
এরপর রাইলি রুশো, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, আরিফুল হক, কার্লোস ব্রাথওয়েট একে একে দলের হাল ধরলেন। তাতে ২০ ওভার ৭ উইকেট হারিয়ে ১৭০ রানের লড়াকু সংগ্রহ দাঁড় করে খুলনা টাইটান্স। ব্যাট হাতে রুশো ২৬ বলে ২ ছয়ে ২৫, মাহমুদউল্লাহ ৩৩ বলে ২ চার ও ২ ছক্কায় ৪০, আরিফুল ১ চার ও ৪ ছক্কায় ৪০ এবং ব্রাথওয়েট মাত্র ১৪ বলে ২ চার ও ৩ ছক্কায় ৩০ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন। তাতে ১৭০ রানের লড়াকু সংগ্রহ পায় খুলনা। বল হাতে চিটাগংয়ের তাসকিন আহমেদ ৩টি উইকেট নেন। ২টি উইকেট নেন ২ উইকেট।
১৭১ রানের জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে খুলনার মতো চিটাগং ভাইকিংসের শুরুটাও ভালো হয়নি। দলীয় ২ রানেই ২ উইকেট নেই চিটাগংয়ের। ২১ রানে হারায় তৃতীয় উইকেট। ৩৮ রানে চতুর্থ। এরপর এনামুল হক (১৮), মিসবাহ উল হক (৩০), সিকান্দার রাজা (৩৭) ও লুইস রেসির (২২) ব্যাটে পরাজয়ের ব্যবধান কমায় চিটাগং। খুলনার মিডল অর্ডারের মতো চিটাগং এর মিডল অর্ডারের ব্যাটসম্যানরাও চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু প্রয়োজনীয় রান রেটের সঙ্গে তাল রাখতে পারেননি। ফলে জয়ও আসেনি।
খুলনার মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানদের পর বল হাতে ভেলকি দেখান মিডিয়াম পেসার আবু জায়েদ রাহি। ৪ ওভার বল করে ৩৫ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন তিনি। এমন পারফরম্যান্সে ম্যাচসেরার পুরস্কারও ওঠে তার হাতে।
তিন ম্যাচে খুলনার এটি তৃতীয় জয়। অন্যদিকে চিটাগং ভাইকিংসের দ্বিতীয় হার।