গুঞ্জন বলা হলেও সত্যি সত্যি বিচ্ছেদের পথে অনেক দূর এগিয়েছেন তারকা দম্পতি শাকিব খান ও অপু বিশ্বাস। অপু সন্তান নিয়ে টেলিভিশনে হাজির হওয়ার পর শাকিব বেশ সমালোচিত হন। এরপর একদিনের জন্যও এক ছাদের নিচে থাকেননি তারা। স্বামী-স্ত্রীর পরিচয়টি শুধু কাগজপত্রেই টিকে আছে।
দুই তারকার পরিবারের ঘনিষ্ঠজন ও এফডিসির কয়েকটি সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানায়, এবার সেই কাগজপত্রেই ঘটতে যাচ্ছে শাকিব-অপুর বিচ্ছেদ। বিচ্ছেদ এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। সূত্রগুলো বলছে, ঘর করার মতো পরিস্থিতিতে নেই এই দুই শিল্পী। যে যার মতো করে চলছেন, একে অন্যের বিরক্তি আর ঘৃণার কারণ হচ্ছেন। শাকিবের মন থেকে অপু জায়গা হারিয়েছেন টেলিভিশনে লাইভ করার দিনই। অপু চেয়েছিলেন প্রথম সন্তান আব্রাম খান জয়ের কল্যাণে সুন্দর সমাধান হোক। কিন্তু তার সব চেষ্টাই ব্যর্থ হতে চলেছে।
কারণ নানা কারণে অপুর ওপর ‘বিরক্ত’ শাকিব এরই মধ্যে বিচ্ছেদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে, কিছুদিন আগে গণমাধ্যমকে শাকিব বলেছেন যে, ‘এ সবই ভুয়া খবর। তবে কিছু যদি ঘটে, সময় হলেই জানতে পারবেন’। তবে কী সেই সময় এসে গেছে!
এদিকে অপু বরাবরই শাকিব বা সংসার নিয়ে কৌশলী উত্তর দিচ্ছেন গণ্যমাধ্যমকে। যেখানে তাদের মধ্যে কথা বলাই বন্ধ, সেখানে ‘সব ঠিক হয়ে যাবে’ বলে পার পেতে চাইছেন এই নায়িকা।
অপু বিশ্বাস এরই মধ্যে চলচ্চিত্রে ফেরার দিন তারিখ চূড়ান্ত করেছেন, চুক্তি করেছেন একাধিক ছবির নির্মাতার সঙ্গে। শাকিবের চাওয়া অনুযায়ী, অপু যে শুধু সংসারি হয়ে থাকছেন না, এটি তারই প্রমাণ।
এদিকে ১১ নভেম্বর বিকেলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিয়ে বিচ্ছেদের খবর বের হয়েছে শুনে তিনি বললেন, ‘ডিভোর্স স্বামী স্ত্রীকে দেয় বা স্ত্রী স্বামীকে দেয় জানতাম। আমার ডিভোর্স হচ্ছে, আমি তো জানিনা কিছু! পত্রিকা কীভাবে সেটা জানে!’
নিজে থেকে ডিভোর্সের কথা ভাবছেন না, তিনি ক্যারিয়ার নিয়ে ব্যস্ত, এমনটি জানিয়ে অপু বলেন, ‘পরিস্থিতি মানুষকে সব প্রশ্নের উত্তর দিতে বাধ্য করে। আমি তেমন পরিস্থিতিতে নেই। বিচ্ছেদ নিয়ে আমাকে প্রশ্ন করবেন না। আমি সন্তান নিয়ে ভালো আছি।’
ক্যারিয়ার তুঙ্গে থাকা অবস্থায় চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় জুটি শাকিব-অপু ২০০৮ সালের ১৮ এপ্রিল গোপনে বিয়ে করেন। দীর্ঘ দিন পর এ বছরের ১০ এপ্রিল বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে গণমাধ্যমে জানান অপু বিশ্বাস। ততদিনে তিনি এক সন্তানের মা। এ নিয়ে দেশজুড়ে বিতর্ক তৈরি হয়। সে সময় শাকিব বলেছিলেন সন্তানের দায়িত্ব নেবেন, স্ত্রীর নয়। কার্যত সেটিই ঘটছে।