Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

mashrafe১৭তম ওভারের খেলা চলছিল তখন। ব্যাটসম্যান হিসেবে স্ট্রাইকিং প্রান্তে মাশরাফি বিন মর্তুজা। আর বোলার চিটাগং ভাইকিংসের শুভাশিস রায়। বলটি রক্ষ্মণাত্মক ভঙ্গিতেই খেললেন মাশরাফি। বল চলে গেলো সোজা বোলার শুভাশিসের হাতে। শুভাশিস চেয়েছিলেন বলটি থ্রো করতে; কিন্তু করলেন না। বল ছোঁড়ার ভঙি করলেন।

এ সময় ব্যাটসম্যান মাশরাফি কিছুটা স্লেজিং করলেন। হাত নেড়ে শুভাশিসকে হয়তো বললেন, নিজের বোলিং মার্কে ফিরে যেতে। জাতীয় দলে মাশরাফির নিজের খুব কাছের সতীর্থ শুভাশিস রায়। হয়তো বিপিএলে প্রতিপক্ষ হওয়া সত্ত্বেও মাশরাফির মধ্যে সেই খুব কাছে থাকার এবং জুনিয়রদের মধুর শাসন করার বিষয়টি কাজ করছিল রংপুর অধিনায়কের মধ্যে। এ কারণেই তার হাত নাড়ার ভঙ্গিটা দেখতে কিছুটা দৃষ্টিকটুই ঠেকেছে।

chardike-ad

কিন্তু তার জবাবে শুভাশিস যা করলেন, তা অকেটাই সীমালঙ্গন বলা যায়। মাশরাফির দিকে বলতে গেলে তেড়ে আসেন চিটাগাংয়ে খেলা জাতীয় দলের এ পেসার। খুব অসদাচরণ করেন তিনি মাশরাফির সঙ্গে। আম্পায়ার এসে দমানোর চেষ্টা করেন শুভাশিসকে।

এমনকি তার নিজের সতীর্থ প্রথমে তানবির হায়দার, পরে জিম্বাবুইয়ান ক্রিকেটার সিকান্দার রাজাও এসে শুভাশিসকে নিভৃত করার চেষ্টা করেন। তাতেও যেন কাজ হচ্ছিল না। মাশরাফির ওপর হামলে পড়বেন যেন চিটাগংয়ের এ পেসার।

মাশরাফি এ সময় কোনো প্রত্যুত্তর করেননি। প্রথমে কিছুটা এগিয়ে এসেছিলেন শুভাশিসের কথা শোনার জন্য। কিছু বলেওছিলেন হয়তো; কিন্তু পরে তিনি শুধু অবিশ্বাসের ভঙ্গিতে তাকিয়ে থাকলেন শুভাশিসের দিকে। হয়তো ভাবছিলেন, এ কাকে দেখছেন তিনি! তার দলেরই কোনো সতীর্থ তো! যাদেরকে তিনি খুব ভালোবাসেন!