নাটকীয়ভাবে সৌদি আরবের দুর্নীতি বিরোধী অভিযানে আটক হয়েছিলেন তারা। ১১জন যুবরাজ, চার মন্ত্রী, কয়েকজন সাবেক মন্ত্রী, নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ও বড় ব্যবসায়ীরা।
২৪ ঘণ্টার মধ্যে মধ্যপ্রাচ্য তোলপাড় শুরু করে চলতি সময়ে সৌদি আরবের সবচেয়ে বড় দুর্নীতি বিরোধী অভিযান। কিন্তু এ ঘটনার পর কি জানা গেছে কোথায় আছেন আটক বন্দীরা?
সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান গঠিত দুর্নীতি দমন কমিটির আওতায় আটক হওয়া সকলে এখন আছেন তাদের বিলাসবহুল ‘হোটেল কারাগারে’। এমনটাই দাবি করছে ডেইলি মেইল। এ নিয়ে একটি ছবি প্রকাশ করা হয়েছে তাদের ওয়েবসাইটে। ছবিতে দেখা যাচ্ছে হোটেলটির আলো ঝলমলে মিলনায়তনের মেঝেতে আরামদায়ক তোষকের ওপর কম্বল গায়ে শুয়ে রয়েছে কয়েকজন। যদিও ছবিতে কারো মুখ দেখা যাচ্ছে না।
ডেইলি মেইলের দাবি, কম্বলের আড়ালে রয়েছেন আটক সৌদির ধনাঢ্য ও ক্ষমতাধর ‘বন্দীরা’। আর এ তথ্য প্রমাণের কোনো উপায় নেই গণমাধ্যমটির। তাদের দাবি অনুযায়ী সৌদি সরকার থেকেই ডেইলি মেইলের কাছে ফাঁস হয়েছে ছবিটি।
গণমাধ্যমটি তাদের গোপন সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, অভিযানে আটক মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম ধনী ব্যক্তি সৌদি যুবরাজ আল ওয়ালিব বিন তালালসহ ১০ যুবরাজ, মন্ত্রীরা ও ব্যবসায়ীরা তাদের বিচারের দিন গুনছেন এক পাঁচ তারকা হোটেলে।
শনিবার আকস্মিকভাবে দুর্নীতি বিরোধী অভিযান চালায় সৌদি কর্তৃপক্ষ। সেদিনই হোটেলটি সম্পূর্ণ খালি করা হয়েছিল। গুঞ্জন ছিল, বন্দিদের রিটজ কার্লটনে বিলাসবহুল সেবা দিয়ে রাখা হয়েছে। তবে, এ ছবিতে দেখা যাচ্ছে তারা এমন সেবা থেকে অনেক দূরেই রয়েছেন।
রাজধানী রিয়াদে অবস্থিত বিলাসবহুল ‘রিটজ কার্লটন’ নামের হোটেলটি বিভিন্ন কারণেই ইতিমধ্যে জনপ্রিয়। গত মাসে ভবিষ্যৎ বিনিয়োগ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল হোটেলের এ কক্ষেই। এ সম্মেলনেই ‘উদার ইসলাম’ নীতিতে ফিরে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন দেশটির ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান।
একসময় এমন সম্মেলনের মাধ্যমে নিজের দেশকে তুলে ধরতেন যুবরাজ আল ওয়ালিদ। ঘটনাচক্রে এ অনুষ্ঠানস্থলের মেঝেতেই থাকতে হচ্ছে যুবরাজ আল ওয়ালিবকে। চলতি বছরের শুরুতে নিজের প্রথম বিদেশ সফরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সৌদি আরব এসেছিলেন। তখন এ হোটেলেই সাক্ষাত করেছিলেন ট্রাম্প ও ক্রাউন্স প্রিন্স।
যুবরাজ আল ওয়ালিব মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচনকালীন আংশিক সমালোচক ছিলেন। ডেইলি মেইলের ভাষ্য, প্রিন্স ওয়ালিবের পরিণতি এ ছবিতেই বোঝা যাচ্ছে।