চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই। মাত্রাতিরিক্ত ফি নেওয়ার অভিযোগ এর মধ্যে একটি। তবে কারও কারও উদারতা আশার আলো দেখায়। তাদের হাত ধরেই বেঁচে থাকে এই পেশার মানবিকতা। এমনই এক চিকিৎসক ভারতের চেন্নাইয়ের ব্যাসারপদির থিরুভেঙ্গাদাম বিরারাঘবন। মানুষ যাতে সুলভে চিকিৎসা করাতে পারে, সে জন্যই তিনি নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন। ৪০ বছর ধরে দুই টাকায় রোগী দেখছেন এই চিকিৎসক। তাই আদর করে তার রোগীরা তাকে ডাকেন ‘দুই টাকার ডাক্তারবাবু’।
তামিলনাড়ূর স্ট্যানলে মেডিকেল কলেজ থেকে ডাক্তারি পাস করেন থিরুভেঙ্গাদাম বিরারাঘবন। এর পর দুই টাকা নিয়েই রোগী দেখা শুরু করেন। একসময় রোগীরাই চাপ দিয়েছিলেন, যাতে ডাক্তারবাবু এত কম টাকা না নেন। সবার অনুরোধ-উপরোধে তিনি পাঁচ টাকা নেওয়া শুরু করেন। প্রতিবেশীরা তাকে অনুরোধ করেন, যাতে অন্তত ১০০ টাকা ফি নেন। এসব শুনে ফি নেওয়াই বন্ধ করে দেন ডা. থিরুভেঙ্গাদাম। কেউ হয়তো তাকে খাবার দিয়ে চলে যান। কখনও তা নেন, কখনও নেন না। তবে তিনি আর টাকা চান না।
সকাল ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত তার এরকানচেরির চেম্বারে পড়ে লম্বা লাইন। এমনকি ১০টার পরও তিনি রোগী দেখেন। কোনো রোগীকেই ফেরান না। একটি করপোরেট হাসপাতালের অ্যাসোসিয়েট ফেলো হিসেবে পাওয়া টাকাতেই চালিয়ে নেন সংসার। ব্যাসারপদি এলাকায় বস্তিবাসীর জন্য একটি হাসপাতাল গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখেন তিনি। আজীবন সেখানেই মানুষের সেবা করে যাবেন। আর সঙ্গে থাকবেন তার স্ত্রী সরস্বতী। দুই ছেলেমেয়েও সেখানেই চিকিৎসা দিতে চান। তারা দু’জন মরিশাসে মেডিসিন নিয়ে পড়াশোনা করছেন।
সূত্র টাইমস অব ইন্ডিয়ার।