প্রেমিকা চাকরি করেন জেট এয়ারওয়েজে। থাকেন দিল্লিতেই। মন থেকে এটা মেনে নিতে পারেননি প্রেমিক। প্রেমিকা যাতে চাকরি ছেড়ে দেন, সেই উদ্দেশ্যে জেট এয়ারওয়েজেরই একটি বিমানে রেখেছিলেন অপহরণের চিরকুট।
সোমবার সেই বিমানকেই জরুরি অবতরণ করা হয় আমেদাবাদে। পরে বিরজুকিশোর সল্লা নামে ওই কোটিপতি ব্যবসায়ীকে গ্রেফতারও করা হয়। তারপরই বের হয়ে আসে এই তথ্য।
সোমবার ভোর ৩টায় মুম্বাই থেকে দিল্লির উদ্দেশে রওনা হয় জেট এয়ারওয়েজের ফ্লাইট ৯ডব্লিউ৩৩৯। মাঝআকাশে ওড়াকালীনই বিমানের শৌচাগারে মেলে একটি চিরকুটটি। তাতে ইংরেজি ও উর্দুতে অপহরণের কথা লেখা ছিল।
বিমান কর্মীদের নজরে আসার পর দিল্লিতে না গিয়ে বিমান নিয়ে যাওয়া হয় আমেদাবাদে। তবে তল্লাশির পর জানা যায় বিমানে কোনও বোমা নেই। এরপর পুলিশে খবর দেওয়া হয়। তদন্তে উঠে আসে মুম্বইয়ের ব্যবসায়ী বিরুজুর সাল্লার নাম।
পুলিশ জানিয়েছে, শহরের অভিজাত এলাকার বাসিন্দা বিরুজুর প্রেমিকা দিল্লিতে জেট এয়ারওয়েজের কর্মী। বিরজুর ইচ্ছে, সেই চাকরি ছেড়ে দিল্লির পাট চুকিয়ে মুম্বাইয়ে তার সঙ্গে থাকুন প্রেমিকা। পুলিশকে এ সব কথাই জানিয়েছেন বিরজু।
তার অদ্ভুত দাবি, বিমান হাইজ্যাকের খবর শুনেই দিল্লি থেকে অফিস গুটিয়ে ফেলতেন জেট কর্তৃপক্ষ। ফলে বান্ধবীকে কাছে পেতে আর কোনও অসুবিধাই হত না। তবে বিরজুর এই যুক্তির পিছনে সত্যিটা জানতে সব দিক খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
তার সঙ্গে কোনও জঙ্গি যোগ রয়েছে কি না তাও জানতে চাইছে পুলিশ। তদন্তে এনআইএ-র সঙ্গেও যোগাযোগ করা হচ্ছে। পুলিশের এক শীর্ষ কর্তা জে কে ভট্ট বলেন, “অ্যান্টি-হাইজ্যাকিং আইনের আওতায় বিরজুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রথম বার এই আইনের আওতায় কোনও ব্যক্তিকে ধরা হল।”