দক্ষিণ কোরিয়া ভূমি থেকে ভূমিতে নিক্ষেপযোগ্য সবচেয়ে শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির পরিকল্পনা করছে। উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে যখন যুদ্ধের আশংকা সৃষ্টি হয়েছে তখন এ পরিকল্পনা করা হলো।
পরিকল্পিত নতুন ক্ষেপণাস্ত্র হিউনমু ৪ এর আগে নির্মিত অনুরূপ দুই ক্ষেপণাস্ত্রের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হবে। এ ছাড়া, নতুন ক্ষেপণাস্ত্রের পে লোড বা অস্ত্র বহন ক্ষমতা এবং পাল্লাও বাড়ানো হবে।
এর আগে, দক্ষিণ কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জাই-ইন। দেশটির ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা বাড়ানো এবং অস্ত্র বহন সক্ষমতা দ্বিগুণ করার সিদ্ধান্ত নেন তারা।
২০১২ সালে সই করা মার্কিন-দক্ষিণ কোরিয়া দ্বিপাক্ষিক চুক্তি অনুযায়ী সিউলের ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা ৮০০ কিলোমিটার এবং বোমাবহন সক্ষমতা ৫০০ কেজি করা হয়েছিল। এ দুই ক্ষমতাই এবারে বাড়ানো হলো।
উত্তর কোরিয়ার কথিত উসকানি এবং হুমকির মুখে এ পদক্ষেপ নেয়া জরুরি হয়ে পড়েছে বলে সিউলে প্রেসিডেন্ট দফতর থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছিল। এ বিবৃতি গত মাসে প্রকাশ করা হয়।