Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

alomgirইতালির ফ্লোরেন্স শহরে ২৫ জন মাতালের হাত থেকে এক তরুণীকে বাঁচিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশি হোসেইন আলমগীর (৫৮)। ২৫ বছর বয়সী গায়া গুরনোত্তা জানিয়েছেন, ফুল বিক্রেতা আলমগীরের সহায়তা না পেলে মাতালরা তাকে ধর্ষণ করত।

ফটোগ্রাফার গায়া গুরনোত্তা জানান, মাতালরা একজোট হয়ে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। ভুল করে যৌনকর্মী ভেবে তারা গায়ার পিছু নিয়েছিল বলেও জানান তিনি। তাকে পালাতে দেখে অশ্লীল ভাষায় গালিও দেন ওই যুবকরা।

chardike-ad

নিজের ফেসবুক পেজে একটি স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন, ‘রাত ১১টা ৩০ মিনিট নাগাদ একা বের হয়েছিলাম রাস্তায় হাঁটতে। আমি অাসলে হাঁটতে ভালোবাসি। আমি ফ্লোরেন্স শহরকে খুব ভালোবাসি; সেই সঙ্গে রাত আমার খুব পছন্দের সময়।’

তিনি আরও লেখেন, ‘এরপর সেই মাতালরা আমার পিছু নিয়ে বলতে থাকে, আমাদের সঙ্গে চলো, মজা করি, ২৫ জন একসঙ্গে, তোমার রাত খুব ভালো কাটবে।’

নিজেদের প্রস্তাবকে দয়া এবং অনুগ্রহ হিসেবেও বর্ণনা করেন তারা। আর তাদের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করাটা হবে কোনো নারীর বোকামি। এতো লোকজনের প্রস্তাব একসঙ্গে পাওয়া যাবে না বলেও তারা দাবি করেছে বলে জানান গায়া।

একপর্যায়ে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নেশাদ্রব্য খাওয়ানোর চেষ্টা করে মাতালরা। আর ঠিক সেই মুহূর্তে ফুল বিক্রেতা হোসেইন আলমগীর সেখানে এসে গায়াকে উদ্ধারের চেষ্টা করেন। ২০০৫ সাল থেকে ইতালিতে বসবাস করছেন আলমগীর। সে কারণে অনেক কিছুই তার চেনাজানা।

বীরত্বের সহিত গায়াকে সেখান থেকে সঙ্গে নিয়ে নিরাপদ স্থানে যাওয়ার পর পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে দেন তিনি। এরপর ভালোভাবে পরিষ্কার হওয়ার জন্য তাকে তোয়ালে দেয়ার পর হাতে একটা গোলাপও তুলে দেন তিনি; যাতে হেনস্থা হওয়ার পরও মানসিক অবস্থা কিছুটা ভালো হয়।

আলমগীরের ব্যাপারে গায়া লেখেন, হুসেইনের মতো মানুষের জন্য পৃথিবীকে অসংখ্য ধন্যবাদ; যে ব্যক্তি কোনো বিনিময় ছাড়াই অন্যকে সহযোগিতা করতে পারে! তাকে আমি কোনোদিনই ভুলব না।

তিনি আরও লেখেন, এই গল্প তিনি এ কারণে শেয়ার করতে চান, যাতে করে সারাবিশ্বে নারীদের পক্ষে জনমত তৈরি করা সম্ভব হয়। তবে এ ব্যাপারে গায়া পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন কি না, তা জানা যায়নি।

সূত্র : ডেইলি মেইল