রাশিয়ার দক্ষিণ-পশ্চিমের ক্রাসনোদার শহরে এক মানুষখেকো দম্পতির খোঁজ পাওয়া গেছে। ৩৫ বছর বয়সী দিমিত্রি বাকশেভ এবং তার স্ত্রী নাতালিয়া পুলিশের কাছে জানিয়েছেন, তারা প্রায় ৩০ জনকে হত্যা করেছে। এর আগে, তারা যে জায়গায় বসবাস করেন, সে সামরিক ঘাঁটিতে কাঁটা-ছেড়া ও অঙ্গহীন একটি লাশ পাওয়া গেলে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
শিকারকে প্রথমে তারা মাদকদ্রব্য খাইয়ে অজ্ঞান করত। এরপর জীবন্ত অবস্থায় তাদের ছাল ছাড়িয়ে নিয়ে মৃতদেহের সঙ্গে সেলফি তুলত। সবশেষে নরমাংস সহযোগে ভোজ সারতো এ দম্পতি।
দিমিত্রির বন্ধুরা জানান, তাদের কখনওই ঘরে ঢুকতে দিত না দিমিত্রি ও তার স্ত্রী। তবে ঘরের মধ্যে এমন ভয়ংকর ঘটনা চলছে তা ঘুণাক্ষরেও টের পাননি তারা।
রাশিয়ান পুলিশ জানায়, ক্রাসনোদার শহরের রাস্তায় একটি মোবাইল ফোন পায় পুলিশ। ফোনটিতে মানুষের শরীরের কাঁটা-ছেড়া অঙ্গের ছবি দেখে ভিরমি খাওয়ার অবস্থা হয় পুলিশ সদস্যদের। এর আগে রাশিয়ান গণমাধ্যমে প্রকাশিত একটি ছবিতে এক ব্যক্তিকে মানুষের শরীর থেকে মাংস খুবলে খেতে দেখা যায়।
এরপর ছবির ব্যক্তি ও মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে তদন্তে নামে পুলিশ। এক পর্যায়ে এই দম্পতির সামরিক একাডেমির বাড়িতে মধ্যবয়সী এক নারীর ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন মৃতদেহ পাওয়া যায়। এরপর পত্রিকায় ছাপা হওয়া ব্যক্তির ছবির সঙ্গে মিলিয়ে দিমিত্রি বাকসিভকে গ্রেফতার করা হয়।
রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, পুলিশ ওই দম্পতির বাড়ি তল্লাশি করে মানুষের শরীরের কিছু অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ পেয়েছে, যার অনেকগুলো আবার কাঁচের পাত্রে সংরক্ষণ করে রাখা। জিজ্ঞাসাবাদে অপরাধের কথা স্বীকার করেছে তারা। জানা গেছে, এর আগে রাশিয়ার একটি সেনা ঘাঁটিতে কিছুদিন কর্মরত ছিল নরখাদক দম্পতি।
সৌজন্যে- বিবিসি