কেন জানি বরাবরই বাংলাদেশের ক্রিকেটকে ছোট চোখে দেখে আসছে ভারতীয় মিডিয়া। এমনকি দেশটির লোকজনও। এর জ্বলজ্যান্ত প্রমাণ পাওয়া যায়, ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচে। বাঙালি হওয়া সত্ত্বেও ইডেন গার্ডেনে ওই ম্যাচে বাংলাদেশের পরিবর্তে চির-প্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানকে সমর্থন করে কলকাতাবাসী।
গেলো মাসে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয় পায় বাংলাদেশ। এটিকেও সঠিকভাবে মূল্যায়ন করেনি ভারতীয় মিডিয়া। তা নিয়ে কলকাতার এক সংবাদমাধ্যম সংবাদ ছাপায় এ শিরোনামে ‘উইকেটের সুবিধা নিয়ে জিতেছে বাংলাদেশ’। এর রেশ না কাটতেই বাংলাদেশের বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানকে হেয় প্রতিপন্ন করে সংবাদ ছাপলো ভারতীয় মিডিয়া।
সম্প্রতি দেশের এক গণমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দেন সাকিব। এসময় চলমান ভারত-অস্ট্রেলিয়া সিরিজ সম্পর্কে তার কাছে জানতে চাওয়া হয়। এতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে জিততে ভারতকে কিছু পরামর্শ দেন তিনি। সেটিকেই ইনিয়ে-বিনিয়ে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারকে হেয় প্রতিপন্ন করে সংবাদ ছেপেছে ‘এবেলা’।
সংবাদমাধ্যমটির শিরোনাম হচ্ছে ‘বিশ্বের এক নম্বর দলকে পরামর্শ দিয়ে হাসির খোরাক সাকিব, আপনিও হাসবেন’। এর মানে তারা বোঝাতে চেয়েছেন বাংলাদেশ ছোট দল। তাদের চেয়ে যোজন যোজন পিছিয়ে টাইগাররা। ভারতকে কোনোভাবেই পরামর্শ দেয়ার অধিকার রাখেন না সাকিব।
তা সাক্ষাৎকারে এমন কী বলেছিলেন সাকিব, যার কারণে ভারতীয় মিডিয়ার কাছে হাসির পাত্র বনে গেলেন তিনি। এবার তা-ই খতিয়ে দেখা হোক।
বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার বলেন, ঘরের মাঠে ভারত সবসময় বড় সুবিধা পায়। ওই সিরিজে অস্ট্রেলিয়ায় চাপে থাকবে। ভারতের বোলিং লাইনআপও শক্তিশালী। ব্যাটসম্যানরা ভুল না করলে জয় পাবে কোহলিরাই। তাই অত চিন্তার কিছু নেই। একটু দেখেশুনে খেললেই জিতবে স্বাগতিকরা।
এ সাধারণ পরামর্শকেই নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করেছে ‘এবেলা’। তাদের প্রতিবেদনের অর্থ এ যে, ভারত বিশেষ দল। সাকিবের মতো ক্রিকেটারের কাছ থেকে পরামর্শ তাদের দরকার নেই। তারা নিজেরাই একশ।