বেলজিয়ামের অসটেন্ড বন্দরের কাছে পানির ৩০ মিটার গভীরে প্রথম বিশ্বযুদ্ধে ধ্বংস হওয়া একটি সাবমেরিন অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করেছে ডুবুরিরা। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের প্রায় ১০০ বছর পর এটির সন্ধান পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, এর মধ্যে ২৩ জন নাবিকের মরদেহ থাকতে পারে। বেলজিয়ামের সরকারি দপ্তর এর সত্যতা নিশ্চিত করেছে।
সাবমেরিনটির সন্ধানকারী এক নাবিক জানান, ওসটেন্ড বন্দরের পাশে পানির ৩০ মিটার গভীরে এটি আবিষ্কার করি। এটির অবস্থা ভালো দেখে মনে হচ্ছে এর ভিতরে থাকা ২৩ জন নাবিকের মরদেহ এখনো পাওয়া যাবে।
তিনি বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানান, ১৯১৪-১৯১৮ সময়ের মধ্যে প্রথম বিশ্বযুদ্ধে জার্মানির ১১টি সাবমেরিন বেলজিয়ামে পাওয়া যায়। এটি উদ্ধার হওয়া সাবমেরিনগুলোর মধ্যে সবচেয়ে সুরক্ষিত।
থমাস টেরমট নামক ওই ডুবুরি বলেন, আমরা ভেবেছি সবচেয়ে বড় বড় ধ্বংশাবশেষগুলো উদ্ধার করা হয়েছে। কিন্ত এটিই আমাদের জন্য বড় চমক।
সাবমেরিনের সঠিক অবস্থান আপাতত গোপন রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, ২৭ মিটার লম্বা এই ইউবি-২ টাইপের টর্পেডো সশস্ত্র সাবমেরিনের পিছনের অংশ ছিল আংশিক আলাদা।
ফ্লেন্ডার মেরি ইন্সটিটিউটের প্রধান জ্যান মিইস বলেন, তিনি অক্ষত অবস্থায় এটিকে দেখেছেন। সবকিছু এখনো বন্ধ অবস্থায় আছে।
বিষয়টি বেলজিয়ামে জার্মান দূতাবাসকে জানানো হয়েছে।