চীনে মুসলমানদের নানা ধরণের প্রতিবন্ধকতার খবর নতুন কিছু নয়। মুসলামানদের রোযা পালনে বাঁধা, বোরখা পরিধানে নিষেধাজ্ঞাসহ এমন হাজারো খবর আসে চীন থেকে। এবার জানা গেলো, শব্দ দূষণের অজুহাতে দেশটির বিভিন্ন মসজিদ থেকে খুলে ফেলা হয়েছে প্রায় এক হাজার লাউড স্পিকার।
মন খারাপ করা এমন সংবাদটি প্রকাশ করেছে চীনের হাইডং টাইমস। পরে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ায় প্রতিবেদনটি মুছে ফেলা হয়। কিন্তু প্রতিবেদনের বিভিন্ন স্ক্রিনশট ভাইরাল হয়ে পড়ে। এরপরে খবরটি প্রকাশিত হয় চীনের মূলধারার সংবাদ মাধ্যম গ্লোবাল টাইমসে। সেই প্রতিবেদনে বলা হয়, মসজিদের আজানের শব্দ ব্যাপকভাবে পরিবেশ দূষণ করছে। সবচাইতে ভোরের আজান বেশ বেদনাদায়ক। ফলে লাউড স্পিকার খুলে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয় চীন প্রশাসন।
জানা গেছে, আজান বন্ধের বহু অভিযোগ জমা পড়ছিল দেশটির স্বায়ত্তশাসিত হুয়ালাং হুই প্রদেশের সরকারের কাছে। পাশাপাশি বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সংস্থা শব্দ দূষণ সৃষ্টিকারী আজান বন্ধের দাবি করে। অনেকেই অভিযোগ করেছেন, আজানের প্রচণ্ড শব্দ হৃদ রোগীদের মারাত্মক সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
পরে অভিযোগটি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয় স্থানীয় লেদু জেলা প্রশাসন। লেদু জেলা প্রশাসন তাদের ওয়েবসাইটে মসজিদের লাউড স্পিকার খুলে ফেলার নির্দেশ দেয়। সরকারি এমন নির্দেশে মাত্র তিন দিনেই মুসলিম অধ্যুষিত চীনের হাইডং শহরের ৩৫৫টি মসজিদ থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে ১০০০টি লাউড স্পিকার।
সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক কর্তারা দাবি করেছেন, ১৯২০ সালে লাউড স্পিকার আবিষ্কার হয়েছে। এখানে ইসলাম ধর্মের প্রাচীন কোন রীতির বালাই নেই। মুসলমানদের নিজ নিজ ধর্ম পালনে লাউড স্পিকার খুলে নেয়া কোন নিষেধাজ্ঞা নয়। তাদের প্রার্থনাতো আর নিষিদ্ধ করা হয়নি।