Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

trump-selfieএখানে তিনটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর ব্যাপার রয়েছে। ট্রাম্প, সেলফি ও স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক। সবগুলো এক জায়গায় হয়ে তালগোল পাকিয়ে ফেলেছে। ট্রাম্পের সঙ্গে সেলফি তুলে সংসার ভেঙেছে এক নারীর।

ঘটনাটি ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা রাজ্যের পাম বিস কাউন্টিতে। গত সপ্তাহে বিচ্ছেদ সম্পন্ন করেছেন ওই দম্পতি। তারাই তাদের বিচ্ছেদে খলনায়কের ভূমিকায় তুলে নিয়ে এসেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে।

chardike-ad

লিন এবং ডেইভ অ্যারনবার্গ দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক স্বামী-স্ত্রীর বন্ধনে আবদ্ধ হন ২০১৫ সালে। একে অপরকে বেশ ভাল করেই জানেন তারা। অথচ ট্রাম্পের সঙ্গে স্রেফ একটি সেলফি সেই বন্ধন ভেঙে চুরমার করে দিয়েছে। অবশ্য তার পেছনেও বেশ কিছু কারণ রয়েছে।

বিচ্ছেদের পথে হাঁটা দুজনই আবার যেনতেন কেউ নন। লিন পেশায় মায়ামি ডলফিনসের সাবেক চিয়ার লিডার। আর ডেইভ অ্যারনবার্গ ফ্লোরিডার পাম বিচ কাউন্টির পাবলিক প্রসিকিউটর। রিপাবলিকান দলের গোঁড়া সমর্থক লিন। অন্যদিকে তার স্বামী ডেমোক্র্যাট সমর্থক।

গত সপ্তাহে দুজনই এক যৌথ বিবৃতিতে নিজেদের আনুষ্ঠানিক গাঁটছাড়ার কথা জানিয়েছেন। ‘সম্মানজনক পন্থায় দু’জনই বিয়ে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। নতুন করে পথ চলায় সবার সহযোগিতা চাই।’

লিনের জনসংযোগ আইনজীবী এক বিবৃতিতে জানান, বিয়ের পর থেকেই বিচ্ছিন্নতার মতো অবস্থা নিয়ে দিন পার হচ্ছিল রিপাবলিকান সমর্থক ও ট্রাম্পভক্ত লিনের। তাদের বিচ্ছেদের ঘটনার পিআর ফার্ম শিরোনাম দিয়েছে দ্য ট্রাম্প ডিভোর্স অর্থাৎ ট্রাম্প-বিচ্ছেদ।

তবে, রাজনৈতিক দ্বন্দ্বও যে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদের একটি কারণ লিন তা স্বীকার করে নিয়েছেন। হিলারি-ট্রাম্প দ্বন্দ্বও নাকি তাদের সংসারে আগুন ধরিয়েছে।

এখন প্রশ্ন, কখন এই ছবিটি তোলা হয়েছিল এবং সংকটের শুরুটা কোথায়? জানা গেছে, ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণা চলাকালে স্বামীকে নিয়ে প্রায় প্রতি সপ্তাহান্তে রিসোর্টে যেতেন লিন।

লিন বলেন, একদিন লাল কার্পেট ধরে আমি সামনে যাচ্ছিলাম হবু প্রেসিডেন্ট এবং তার স্ত্রীর সঙ্গে সেলফি তুলতে। তখন আমার পিছু নিয়েছিল সে (তার স্বামী)।

তার স্বামী কখনোই চাইতো না যে, ট্রাম্প কিংবা তার স্ত্রীর সঙ্গে লিন ছবি তুলুক। কিন্তু পাঁড় সমর্থক হলে যা হয় আর কি। ট্রাম্পকে জড়িয়ে ধরে ছবি তুললেন লিন। আর সেটাই কাল হয়ে দাঁড়াল তাদের দাম্পত্য জীবনে।

সেই ছবি ফেসবুকে পোস্ট করেছিলেন লিন। ছবিটিকে কেন্দ্র করেই অবশেষে বিচ্ছেদ হয়ে গেল তাদের। অবশ্য এর আগে ৭৮ বছর বয়সী এক নারী তার স্বামীর সঙ্গে ২২ বছরের সংসার জীবনের ইতি টেনেছিলেন। সেটাও ট্রাম্পের কারণেই।

ওই নারী অবশ্য ডেমোক্র্যাট সমর্থক। স্বামী ট্রাম্পকে ভোট দেবেন জানার পর এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেন তিনি।