মার্কিন সরকার তীব্র হতাশা প্রকাশ করে বলেছে, দেশটি উত্তর কোরিয়ার আইসিবিএম পরীক্ষার ব্যাপারে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠক ডাকবে না। কারণ, এ ধরনের বৈঠক থেকে ‘তেমন কোনো ফল’ পাওয়া যাবে না।
জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালি এই হতাশা প্রকাশ করার পাশাপাশি উত্তর কোরিয়াকে থামানোর জন্য চীনকে উৎসাহ দেয়ার চেষ্টা করেছেন। তিনি এক বিবৃতিতে বলেছেন, “নিরাপত্তা পরিষদের নতুন প্রস্তাব যদি উত্তর কোরিয়ার ওপর উল্লেখযোগ্য চাপ বাড়াতে না পারে তাহলে সে ধরনের প্রস্তাব পাস করে কোনো লাভ নেই।”
মার্কিন রাষ্ট্রদূত আরো বলেন, চাপ প্রয়োগ না করে একটি জরুরি বৈঠক করলে তাতে উত্তর কোরিয়া এই বার্তা পাবে যে, আন্তর্জাতিক সমাজে তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে আগ্রহী নয়। নিকি হ্যালি হতাশার চরমে পৌঁছে বলেন, “এ ধরনের জরুরি বৈঠক করার চেয়ে কোনো কিছু না করা অনেক ভালো।”
উত্তর কোরিয়া সম্প্রতি এমন একটি আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র বা আইসিবিএমের পরীক্ষা চালিয়েছে যা দিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যেকোনো স্থানে আঘাত হানা যায়। এর জবাবে আমেরিকা দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে যৌথ সামরিক মহড়া চালানোর পাশাপাশি কোরীয় উপদ্বীপের আকাশ দিয়ে বোমারু বিমান উড়িয়েছে। কিন্তু উত্তর কোরিয়া বলেছে, এর ফলে দেশটির আমেরিকায় আঘাত হানার সক্ষমতায় কোনো পরিবর্তন আসেনি।
উত্তর কোরিয়া সাধারণত দিনের প্রথম ভাগে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালালেও সর্বশেষ আইসিবিএমের পরীক্ষা চালায় রাতের বেলা। সেইসঙ্গে এটির পরীক্ষা এমন একটি স্থান থেকে চালানো হয় যার কথা পশ্চিমা গোয়েন্দা সূত্রগুলো আগে থেকে ঘুণাক্ষরেও টের পায়নি।