Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

sirajgongযৌন হয়রানির প্রতিবাদ করায় সহপাঠীদের সামনেই সিরাজগঞ্জ সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের এক ছাত্রীকে পেটালেন সাদ্দাম হোসেন নামে এক ছাত্রলীগ নেতা। এ সময় কিল-ঘুষি, লাথি মেরে ওই শিক্ষার্থীর চশমা ভেঙে ফেলা হয়েছে। মঙ্গলবার বেলা ২টার দিকে সিরাজগঞ্জ সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের একাদশ শাখার বিএনসিসি ডেনের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

সাদ্দাম হোসেন সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক কমিটির উপ-প্রচার বিষয়ক সম্পাদক ও পৌর এলাকার (কলেজের কাছে) দত্তবাড়ি মহল­ার আব্দুল মজিদের ছেলে।

chardike-ad

মেয়েটির পরিবার জানায়, মঙ্গলবার দুপুরে অন্যান্য শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ওই কলেজ ছাত্রী বিএনসিসির পোশাক পড়ে প্যারেডে অংশ নেয়। এ সময় বখাটে সাদ্দাম অশোভন কথা বলে মেয়েটিকে উত্ত্যক্ত করে। একপর্যায়ে মেয়েটি প্রতিবাদ করলে সাদ্দাম সহপাঠীদের সামনেই বেধড়ক মারপিট করে।

তারা আরও জানান, ছেলেটি মাদকসেবী এবং প্রায়ই নারীদের উত্ত্যক্ত করে। পুলিশ তাকে বেশ কয়েক বার ধরলেও পরে বের হয়ে এসে আবারও নারীদের উত্ত্যক্ত করে। এরই ধারাবাহিকতায় সে আজ এ ঘটনা ঘটিয়েছে।

এদিকে, এ ঘটনায় শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ শুরু করলে পুলিশ বখাটেকে গ্রেফতারের আশ্বাস দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। পরে বিকেল ৩টার দিকে সাদ্দামকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।

সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক এস.এম.মনোয়ার হোসেন বলেন, ঘটনাটি খুবই ন্যাক্কারজনক। আমরা বিষয়টি জানার পরপরই দ্রুত পুলিশ সুপার ও সদর থানার ওসিকে অবগত করেছি। তারাও বখাটেকে গ্রেফতার করেছে।

সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হেলাল উদ্দিন বলেন, মেয়েটি বিএনসিসি’র ড্রেস পড়ে প্যারেড করছিল। তাকে দেখে ছেলেটি উত্ত্যক্ত করছিল। মেয়েটি প্রতিবাদ করায় ওই বখাটে তাকে মারপিট করে। আমরা ঘটনাটি জানার পর দ্রুত কলেজে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করি। পরে বখাটে ওই ছাত্র নেতাকে গ্রেফতার করে থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, পুলিশ সুপার স্যারের নির্দেশে তাৎক্ষণিক আমরা ছেলেটিকে গ্রেফতার করি। কলেজ কর্তৃপক্ষও ছেলেটির বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছে।

সিরাজগঞ্জ সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি শেখ খলিদ সাইফুল­াহ সাদি জানান, ওই বখাটে ছাত্রলীগ নেতা একাধিকবার সিরাজগঞ্জ সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের বেশ কয়েক জন নারী শিক্ষার্থীদের উৎপীড়ন করেছে। এর আগেও সাদ্দামকে নিয়ে কয়েক দফায় সালিশ হয়েছে।

এ ব্যাপরে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক একরামুল হক জানান, সাদ্দামের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। অপরাধী যেই হোক না কেউ অন্যায় করলে তাকে শাস্তি পেতে হবে।