দক্ষিণ ও পূর্ব চীন সাগরকে কেন্দ্র করে যুক্তরোষ্ট্রের সঙ্গে চীনের বিরোধ ক্রমশ জটিল হচ্ছে। গত রবিবার ক্ষেপণাস্ত্রবাহী দুটি চীনা যুদ্ধ বিমানের ধাওয়া খেয়ে এক মার্কিন গোয়েন্দা বিমানকে পড়িমরি ছুটে পালাতে হয়েছে।
মঙ্গলবার নবভারত টাইমস জানায়, সেদিন ধাওয়াকারী চীনা প্লেনটি মার্কিন গোয়েন্দা যানটির এত কাছে চলে গিয়েছিল যে তাদের মধ্যে সংঘর্ষ হতে পারতো। এ ঘটনা যখন ঘটে তখন মার্কিন বিমানটি আন্তর্জাতিক আকাশসীমায় ছিল। চীনা যুদ্ধযানটি খুবই বিপজ্জনকভাবে মার্কিন বিমানের কাছে চলে যায়।
সোমবার মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন এ তথ্য দিয়ে জানায়, সংঘর্ষ এড়াতে এসময় যুক্তরাষ্ট্রের বিমানটিকে সরিয়ে নেওয়া হয়। এর আগেও একাধিকবার দক্ষিণ ও পূর্ব চীন সাগরে মার্কিন ও চীনা সামরিক বিমানের মাঝে এমন ঘটনা ঘটেছে।
ভাইস নিউজ জানায়, চীনের দুইটি জে-১০ ফাইটার জেট মার্কিন নৌবাহিনীর ইপি-৩ বিমানকে ধাওয়া করে। চীনা যুদ্ধবিমানটি ইপি-৩ এর এত কাছে চলে আসে যে তার স্বয়ংক্রিয় অ্যালার্ম বেজে ওঠে। এই অ্যালার্ম তখনি বাজে যখন উড়ন্ত অবস্থায় বিমানের সঙ্গে কোনোকিছুর সংঘর্ষের আশঙ্কা দেখা দেয়।
এ ব্যাপারে ইউএস নেভির ক্যাপ্টেন জেফ ডেভিস সাংবাদিকদের বলেন, চীনা সশস্ত্র বাহিনীর সচরাচর যে ধরনের আচরণের সঙ্গে আমরা পরিচিত এটা সেরকম ছিল না।
ডেভিস জানান, আন্তর্জাতিক আকাশ সীমায় অন্যান্য দেশের গোয়েন্দা বিমান নিয়মিত টহল দিয়ে থাকে। এসময়কায়র আচরণ থাকে শান্ত ও নিরাপদ। কিন্তু রবিবার চীনা বিমান বাহিনীর বিমানগুলো আমাদের বিমানের সঙ্গে যে আচরণ করেছে তা অপরাধের পর্যায়ে পড়ে। সাধারণ ক্ষেত্রে কেউ এমন করে না।
ইউএস নেভির লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মেট নাইট বার্তা সংস্থা এপিকে জানান, এ ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে। ইউএস নেভি সূত্র জানায়, গোয়েন্দা বিমানটির চালকরা জানিয়েছেন চীনা বিমান দুটির কর্মকাণ্ডকে অনিরাপদ বলে জানিয়েছে।
তবে বিপজ্জনকভাবে মার্কিন বিমানের কাছাকাছি যাওয়ার অভিযোগ চীন অস্বীকার করেছে। এর আগে গত মে মাসে পূর্ব চীন সাগর এলাকার আকাশে চীনের দুটি সুখোই এসইউ-৩০ জেট একটি মার্কিন পর্যবেক্ষণ বিমানকে ধাওয়া করেছিল।