দেশে এখন চলছে বর্ষাকাল। পরিপূর্ণ বর্ষা আসার আগেই অত্যাধুনিক পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থায় সেজেছে ‘হোম অব ক্রিকেট’ মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় স্টেডিয়াম। কিন্তু রাজধানী থেকে একটু বাইরে গেলেই চোখে পড়বে মুদ্রার অপর পিঠ। নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়াম এখন রূপ নিয়েছে দীঘিতে! অথচ এই মাঠেই অস্ট্রেলিয়ার দুই দিনের প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার কথা রয়েছে।
সম্প্রতি মৌসুমী বৃষ্টিতে ইতোমধ্যে প্লাবিত হয়েছে ফতুল্লার স্টেডিয়ামটি। স্টেডিয়ামের ৫টি প্রবেশ পথের ৪টিই পানিতে তলিয়ে গেছে! প্লাবিত চারটি গেট দিয়ে প্রবেশ করার কোনো উপায় নেই। শহরের নোংরা পানি এসে জমা হচ্ছে স্টেডিয়ামে। আশেপাশের কারখানার বর্জ্য আর পয়:নিষ্কাশনের জায়গা যেন হয়ে উঠেছে স্টেডিয়ামটি। যে কারণে এই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামটিতে অজিদের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচ আয়োজনের সম্ভাবনা কমে যাচ্ছে।
সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ১৭ আগস্ট ঢাকায় পা রাখবে স্টিভেন স্মিথের দল। ২৭ আগস্ট প্রথম টেস্টে মুখোমুখি হবে দুই দল। এর আগেই একটি ২ দিনের প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে তারা। প্রস্তুতি ম্যাচের আগেই মাঠ খেলার উপযোগী করার জন্য কাজ চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
বিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজামুদ্দিন চৌধুরী সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘পানি মাঠ থেকে বের করার কাজ চলছে। আমি মনে করি অস্ট্রেলিয়া আসার আগেই জলাবদ্ধতার সমস্যাটির সমাধান হবে। ‘
তবে মাঠের পরিস্থিতি বেশি খারাপ হওয়া বিকল্প ভেন্যুর কথাও ভাবা হচ্ছে। বিকল্প হিসেবে ইতিমধ্যে সাভারের বিকেএসপিকে নির্ধারণ করা হয়েছে। ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলি স্টেডিয়ামটির ধারণক্ষমতা ২৫ হাজার। এখন পর্যন্ত দুইটি টেস্ট, দশটি আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ও চারটি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে এখানে। তবে, মাঠের এই বেহাল দশার দায়-দায়িত্ব কেউ নিতে চাইছে না। দেশের ক্রিকেট যখন দুর্দান্ত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে তখন দেশের একটি আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের এমন বেহাল দশা মোটেও ভালো কোনো বিষয় নয়।