Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

usa-qatarজঙ্গিবাদে অর্থ সরবরাহ বন্ধ করার বিষয়ে ইতোমধ্যে একটি সমঝোতা চুক্তি সই করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও কাতার। এরপরও কাতারের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে বলে জানিয়েছে সৌদি আরব ও তার মিত্রদেশগুলো।

বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, জঙ্গিবাদে অর্থ সরবরাহ বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কাতার চুক্তি করলেও তাতে বিশ্বাস বা আস্থা রাখতে পারছে না বলে জানিয়েছে সৌদি ও মিত্ররা।

chardike-ad

সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মিশর ও বাহরাইন যৌথভাবে কাতারকে যে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে এর যথার্থ কূটনৈতিক সমাধানের নানামুখী প্রচেষ্টা চলছে। এর অংশ হিসেবে মধ্যপ্রাচ্য সফরে রয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন।

উপসাগরীয় অঞ্চলের মন্ত্রীদের সঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠক কোনো সমাধান ছাড়াই শেষ হয়েছে। ফলে আজ বৃহস্পতিবার আবারও কাতার সফরে যাচ্ছেন রেক্স টিলারসন।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের মন্ত্রী নোরা আল কাবির বরাত দিয়ে বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, এই চুক্তিকে খুব বিশ্বাসযোগ্য মনে হচ্ছে না। তবে এই চুক্তিকে ইতিবাচকই মনে হচ্ছে। কিন্তু তা কীভাবে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে- তার ওপরই সবকিছু নির্ভর করছে।

তিনি আরও বলেন, দুর্ভাগ্যজনকভাবে ২০১৩ ও ২০১৪ সালে কাতার দুইবার চুক্তি করে এবং সম্পূরক আরও একটি চুক্তি হয়। যেখানে সন্ত্রাসবাদ ও উগ্রবাদকে ঠেকানোর লড়াইয়ের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সবই ছিল মিথ্যে প্রতিশ্রুতি। কার্যত তারা কিছুই করেনি। তাই আমরা তাদের প্রতি বিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছি।

সন্ত্রাসবাদে সমর্থন ও অর্থায়নের অভিযোগ থাকলেও হামাস বা ইসলামিক স্টেটকে কোনো ধরনের সহযোগিতার বিষয়টি শুরু থেকেই অস্বীকার করে আসছে কাতার।

কাতারের ওপর সৌদি আরব ও তার মিত্রদের নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর সৃষ্ট পরিস্থিতি অবসানের উপায় খুঁজে বের করতে চেষ্টা চালাচ্ছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। যুক্তরাষ্ট্র ও কাতারের মধ্যে সই হওয়া নতুন স্মারক অনুসারে কাতারের কর্তৃপক্ষকে আগামী দিনগুলোতে বেশকিছু কাজ ধারাবাহিকভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে।