চট্টগ্রামের লোহাগড়ার পাহাড়ি এলাকায় বিধ্বস্ত হওয়া বিমানে থাকা বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর দুই পাইলট অক্ষত রয়েছেন। প্রশিক্ষক ও প্রশিক্ষণার্থী দুই বৈমানিক বিধ্বস্ত হওয়ার আগেই প্যারাসুটের সাহায্যে নিচে নেমে আসেন।
১১ জুলাই মঙ্গলবার দুপুর দুইটার দিকে বিধ্বস্ত হওয়া বিমানটিতে ছিলেন উইং কমান্ডার কামরুল ও স্কোয়াড্রন লিডার নাজমুল।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) দুই পাইলট অক্ষত থাকার কথা নিশ্চিত করলেও বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার কারণ তদন্তাধীন বলে জানিয়েছে।
রাশিয়ার তৈরি ইয়াকভলেভ ইয়াক-১৩০ প্রশিক্ষণ বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার আগেই গোলযোগ বুঝতে পেরেছিলেন বৈমানিকেরা। মুহুর্ত বিলম্ব না করে বিমান থেকে প্যারাসুট নিয়ে লাফিয়ে পড়েন বৈমানিকেরা। পরে বিমান বাহিনীর একটি হেলিকপ্টার ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে নিয়ে আসে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে এই খবর নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার নূরে আলম মিনা।
রাশিয়ার তৈরি বিমানটির বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে কমিশন হয় ২০১৫ সালে। ৩ হাজার কেজি বিস্ফোরক বহনে সক্ষম ইয়াক-১৩০ (YAK 130) বিমানটি প্রশিক্ষণ ছাড়াও যুদ্ধকালীন আকাশ প্রতিরক্ষা ও আক্রমণে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
মঙ্গলবার বেলা সোয়া দুইটার দিকে বড় হাতিয়ার ফরিদারঘোনায় দুর্গম এলাকায় বিধ্বস্ত হওয়া বিমানটির এই পরিণিতির কারণ অনুস্ধানে নেমেছে তদন্তকারীরা।