চীনের ঝিয়ামেন এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটের বিজনেস ক্লাসে যাত্রীর আসনে বসে ভ্রমণ করেছে ৩ দেব-দেবী। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে এই তথ্য ছড়িয়ে পড়ার পর তা নিয়ে আলোচনার ঝড় উঠেছে।
বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, চীনের বন্দর নগরী থেকে মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুর নেওয়ার ওই বিমানে তোলা হয়েছিল চীনের দেব-দেবীগুলোকে।
বিমানে ভ্রমণ করা দেব-দেবীগুলো হলো- চীনা সমুদ্রের দেবী মাজু; দূরদৃষ্টি ক্ষমতা সম্পন্ন দেবী কানুলিয়ান এবং বায়ু দ্বারা বাহিত সমস্ত শব্দ শুনতে অবিশ্বাস্য ক্ষমতার অধীকারি শুনফেন্দার।
চীনা সমুদ্রের দেবী মাজু (মাতসু নামেও পরিচিত); দক্ষিণ চীন, মালয়েশিয়া, ভিয়েতনাম ও তাইওয়ানের মতো বড় তাওবাদী ও চীনা বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের দেশগুলোতে এর পূজা সমাদৃত। তারা বিশ্বাস করে, সমুদ্রের পৃষ্ঠপোষকতা এবং বিপদে পড়া মৎসজীবী ও নাবিকদের রক্ষা করে দেবী মাজু।
সমুদ্র দেবীর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এবং তার নামে একটি উৎসব উদযাপনের জন্য উদ্বোধনী সাংস্কৃতিক বিনিময় সফরের অংশ হিসাবে মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরে তিনটি মূর্তি পাঠানো হয়েছিল। তাছাড়া চীনে মিজিও মজু পূর্বপুরুষের মন্দিরের আয়োজন করা হয়েছে। কম সময়ের মধ্যে অনুষ্ঠানগুলোতে হাজির হতে দেব-দেবী নিয়ে আকাশপথে ভ্রমণ করা হয়েছে।
মন্দিরের কর্মচারীরা জানান, ধর্মীয় মূর্তিগুলো নিয়ে ১৩০ জনের প্রতিনিধি দল বিমানে ভ্রমণ করেছেন। প্রতিটি দেবীর উচ্চতা ৬ ফিটের বেশি। তাদের পাসপোর্ট ছিল। দেব-দেবীদের জন্য আলাদা টিকিটও করা হয়েছে। বিমানের কর্মচারীদের সহায়তায় পবিত্র মূর্তিগুলোকে প্রথম সারির আসনে বসিয়ে দেন ভক্তরা।
মালয়েশিয়ার উৎসব আয়োজক কর্তৃপক্ষের মুখপাত্র জানান, এটা আমাদের দেবী মজুর সংস্কৃতির জন্য মৌলিক সম্মান। অর্থসূচক