Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

tillersonকাতারের সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যের চারটি দেশের চলমান সংকট নিরসনে সোমবার কুয়েতে সফর করবেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন। সফরকালে কুয়েতের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে সংকট নিরসনের উপায় বের করার চেষ্টা করবেন তিনি। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। খবর আল জাজিরার।

ধারণা করা হচ্ছে, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর উপস্থিতি কাতারের সংকট নিরসনে সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দেবে। এছাড়া মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশ সংকট নিরসনে অান্তরিকতা দেখাবে।

chardike-ad

সৌদি আরবের নেতৃত্বে সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন ও মিসর ৫ জুন কাতারের সঙ্গে তাদের কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার পর নৌ, স্থল ও আকাশসীমাও বন্ধ করে দেয়। দেশগুলোর অভিযোগ, জঙ্গি গোষ্ঠীদের সমর্থন ও অর্থায়ন করে আসছে কাতার। তবে কাতার বরাবরই সেই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।

সংকট নিরসনে গত ২২ জুন চারটি দেশের পক্ষ থেকে ১৩ টি শর্ত দিয়ে কাতারকে ১০ দিনের আল্টিমেটাম দেয়া হয়। ওই ১৩ টি শর্তের মধ্যে আল জাজিরা বন্ধ করে দেয়া ছিল প্রধান শর্ত। তবে ওই দাবিগুলো অযৌক্তিক হিসেবে প্রত্যাখ্যান করেছে দোহা। তবে কুয়েত এখনও সংকট নিরসনে মধ্যস্থতার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

কাতারের সঙ্গে নয়টি দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্নের ব্যাপারে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কুয়েতকে আগে থেকেই সমর্থন জানিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে রেক্স টিলারসনের কুয়েত সফর যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনের গুরুত্ব আরও বাড়িয়ে দেবে।

গত বৃহস্পতিবার মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে কাতার সংকট নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছিল। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হেদার সুয়ার্ট বলেছেন, চলমান সংকট নিয়ে আমরা খুবই উদ্বিগ্ন। আমাদের মনে হচ্ছে এই সংকট সপ্তাহ, মাস এমনকি অনেক বেশি সময় ধরে তীব্র হতে পারে। তবে যুক্তরাষ্ট্র কী ধরনের সমস্যায় পড়বে, তা পরিষ্কারভাবে উল্লেখ করা হয়নি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওই দেশগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করছেন বলে জানানো হয়েছে।

গত মাসে টিলারসন বলেছিলেন, সৌদি আরবের নেতৃত্বে কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্নের ঘটনায় মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে। একই সঙ্গে ইরাকে ইসলামিক স্টেট (আইএস) ও অন্যান্য জঙ্গি সংগঠনের বিরুদ্ধে মার্কিন নেতৃত্বাধীন লড়াই বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

টিলারসন আরো বলেছেন, আমাদের প্রত্যাশা কাতারের সঙ্গে যত দ্রুত সম্ভব দেশগুলো সংকট মিটিয়ে নেবে। বিদ্বেষ ভুলে তারা একে অন্যের সঙ্গে ভাল সম্পর্ক শুরু করবে।

কাতারের আল উদেইদ বিমান ঘাঁটিতে ১১ হাজারের বেশি মার্কিন সেনা রয়েছে। সেখান থেকে শতাধিক যুদ্ধবিমান অভিযানে অংশ নিচ্ছে।