Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

mustafarমালয়েশিয়ার অভিবাসন বিভাগ এ বছরের মে পর্যন্ত বিভিন্ন ফৌজদারি অপরাধের দায়ে তেইশ হাজার অবৈধ অভিবাসীকে বন্দি শিবিরে নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন দেশটির ইমিগ্রেশন মহাপরিচালক দাতুক মুস্তাফার আলী।

বন্দিশালায় ৬ হাজার ৮’শ ৪৯ জন অবৈধ অভিবাসীসহ তালিকার শীর্ষে রয়েছে ইন্দোনেশিয়রা। এর পরেই রয়েছে ৪ হাজার ২’শ ২০ জন লোকসহ বাংলাদেশীরা।

chardike-ad

তিনি বলেন, আমাদের বিদেশী শ্রমিক প্রয়োজন, তাই বলে আমরা তাদের অপরাধ সহ্য করবো না, বুধবার (৩১ মে) সন্ধ্যায় তার কার্যালয়ে মালয়েশিয়ান ক্রাইম প্রিভেনশন ফাউন্ডেশনের (এমসিপিএফ) সঙ্গে এক সংলাপ অধিবেশনের পর সাংবাদিকদেরকে একথা জানান তিনি।

এছাড়াও সেখানে উপস্থিত ছিলেন এমসিপিএফ এর ভাইস চেয়ারম্যান তান শ্রী লি লাম থাই। তারা তাদের কাজের পারমিটের শর্তাবলী লঙ্ঘনসহ অনেক অনৈতিক কার্যকলাপে জড়িত রয়েছে বলে জানান মোস্তফার আলী।

উল্লেখ্য, তাঁরা পতিতাবৃত্তি, কালো টাকা ঘুষ, খুন, ছিনতাই এবং অপহরণের মতো বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিল। বর্তমানে দেশজুড়ে ১৩ টি বন্দিশালা কেন্দ্র রয়েছে এবং অভিবাসন বিভাগ ২০১৪ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে দেশজুড়ে পরিচালিত ধারাবাহিক অভিযানের মাধ্যমে মোট ১ লক্ষ ৪৬ হাজার ৮’শ ৭৬ জন অবৈধ অভিবাসীকে আটক করেছে।

বন্দিশালা গুলিতে চিকিৎসার অভাব সংক্রান্ত সমালোচনার উল্লেখ করে মুস্তাফার বলেন, আটক কেন্দ্রগুলিতে চিকিৎসা সহায়তার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রয়েছে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একজন মেডিকেল অফিসার পর্যায়ক্রমিকভাবে প্রতিটি বন্দিশালায় কেন্দ্র পরিদর্শন করছেন। আমাদের যা প্রয়োজন তা হলো ১শ’ ৩৭টি এন্ট্রি পয়েন্ট এবং বন্দিশালা কেন্দ্রগুলির দেখাশুনা করার জন্য আরও বেশি জনবল। বিভাগের কাজে দেশজুড়ে বর্তমানে ১৪ হাজার ৪’শ ৪৭ জন নির্বাহী কর্মকর্তা নিয়োজিত রয়েছেন বলেও তিনি জানান।