প্রেম মানে না কোনো বাধা। হয়তো সেটাই প্রমাণ করতে গিয়েছিলেন ভারতের ঝাড়খণ্ড রাজ্যের প্রেমিক-প্রেমিকা। কিন্তু তাদের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াল ধর্ম। কারণ প্রেমিক মুসলিম হলেও প্রেমিকা হিন্দু। আর এ কারণেই জীবন দিতে হলো প্রেমিককে। এমন এক কাহিনী বলা হয়েছে সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, প্রেমিক ঝাড়খণ্ডের গুমলা শহরের বাসিন্দা মুহাম্মদ শালিক (২০)। প্রেমিকার বাসও কাছের একটি গ্রামেই। গত বুধবার গুমলায় উদযাপন হচ্ছিল হিন্দু ধর্মীয় উৎসব রামনবমী। উৎসবে যোগ দিতে এসে শাকিলের সঙ্গে দেখা করতে চান প্রেমিকা। প্রথমে রাজি হননি শালিক। পরে স্কুটিতে করে প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে যান এবং শেষে তাকে বাড়িতেও পৌঁছে দেন।
এ সময় শালিককে দেখে ফেলেন ওই তরুণীর প্রতিবেশীরা। এরপর তাকে আটক করে, গাছে বেঁধে কয়েক ঘণ্টা ধরে মারধর করা হয়। এর জের ধরে পরদিন বৃহস্পতিবার শালিকের মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে গুমলার পুলিশপ্রধান চন্দন কুমার ঝাঁ হিন্দুস্তান টাইমসকে জানান, এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ছাড়া কয়েকজনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। তবে এর আগে শালিককে ওই তরুণীর সঙ্গে দেখা করা ও গ্রামে প্রবেশ করতে নিষেধ করা হয়েছিল।
শালিকের বাবা মুহাম্মদ মিনহাজ জানান, বুধবার রাতে তার কাছে দুজন লোক আসেন। তারা জানায়, শালিককে বেঁধে রেখে পেটানো হচ্ছে। তখন তিনি পুলিশকে খবর দেন এবং পুলিশকে নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। গিয়ে দেখেন, শালিক গুরুতর আহত। তাকে প্রথমে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসক শালিককে রাঁচি শহরে স্থানান্তর করেন। রাঁচিতে নিয়ে যাওয়ার পথেই তার মৃত্যু হয়।