ব্র্যাক ব্যাংকের মোবাইলে মানিঅর্ডারের মাধ্যম বিকাশ নিয়ে বিভিন্ন ধরণের প্রশ্ন রয়েছে। এমনকি রেমিট্যান্স আনার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকেরও বৈধতা নেই এই পদ্ধতির। আভ্যন্তরীণ টাকা লেনদেনসহ বিদেশ থেকেও এর মাধ্যমে রেমিট্যান্স আসছে। গত ২০১৬ সালে বিকাশের মাধ্যমে ১৪.৩১ শতাংশ অর্থ দেশে এসেছে। সরকার এখন এই বিকাশকে আইনী বৈধতা দেয়ার কথা ভাবছে বলে জানান পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
আজ রোববার বিকেলে শেরেবাংলা নগরস্থ এনইসি অডিটোরিয়ামে এনইসি সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আনুষ্ঠানিক ব্রিফিং-এ একথা বলেন। এসময় পরিকল্পনা বিভাগের সচিবসহ অন্য সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী জানান, বিদেশ থেকে ব্যাংকিং চ্যানেলে যে পরিমাণ রেমিট্যান্স আসে তার প্রায় সমপরিমাণ আছে অন্যান্য চ্যানেল দিয়ে। রেমিট্যান্স আনার ক্ষেত্রে বিকাশের এই কার্যক্রমকে বৈধতা দেয়া হবে। কারণ এই টাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে যুক্ত হয় না।
তিনি বলেন, ২০১৩ সালে ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে ৬৮ শতাংশ রেমিট্যান্স এসেছে। আর হুন্ডির মাধ্যমে এসেছে ১০ দশমিক চার শতাংশ। তখন বিকাশের জন্ম হয়নি। ২০১৬ সালে ব্র্যাক ব্যাংকের এই বিকাশের জন্ম হয়। ওই বছর ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স আসে ৫১ শতাংশ। আর বিকাশের মাধ্যমে আসে ১৪ দশমিক ৩১ শতাংশ এবং হুন্ডিতে পাঁচ দশমিক ৪৫ শতাংশ।
এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বিকাশ ভালোভাবে ব্যবসা করুক আমরা চাই। তবে সেই ব্যবসা নিয়মের মধ্যে থেকে করতে হবে। আমরা কোনো ব্যবসা বন্ধ করার পক্ষে নই। সুনদরভাবে করবে সেটাই চাই।