উত্তর কোরিয়া আবার একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে বলে দক্ষিণ কোরিয়ার গণমাধ্যম খবর দিয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে-ইন শপথ গ্রহণ করার কয়েকদিনের মধ্যে এ ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালাল পিয়ংইয়ং।
দক্ষিণের বার্তা সংস্থা ইওনহ্যাপ জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়ার রাজধানী পিয়ংইয়ং থেকে উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত কুসং শহরের কাছাকাছি একটি স্থান থেকে আজ (রোববার) সকালে এ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনী বলেছে, ক্ষেপণাস্ত্রটি ৭০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে জাপান সাগরে পড়েছে। অন্যদিকে টোকিও বলেছে, উত্তর কোরিয়া থেকে নিক্ষিপ্ত ক্ষেপণাস্ত্রটি ৩০ মিনিট ধরে আকাশে ওড়ার পর দেশটির উত্তর উপকূল ও জাপানের মধ্যবর্তী স্থানে সাগরে পতিত হয়েছে।
চলতি বছর উত্তর কোরিয়ার পক্ষ থেকে ধারাবাহিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের ঘটনায় আমেরিকার সঙ্গে দেশটির উত্তেজনা চরমে রয়েছে। আন্তর্জাতিক নিন্দা ও জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নিজের পরমাণু অস্ত্র ও ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা তীব্রতর করেছে উত্তর কোরিয়া।
এর আগে গতমাসে দেশটি দুই দফা ব্যর্থ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালায়। দুইবারই নিক্ষেপের কয়েক মিনিটের মধ্যে ক্ষেপণাস্ত্রগুলো বিস্ফোরিত হয়। উত্তর কোরিয়া দুই ধরনের আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র বা আইসিবিএম তৈরি করছে বলে ধারণা করা হয়। তবে এখন পর্যন্ত এগুলোর কোনোটিরই পরীক্ষা চালায়নি পিয়ংইয়ং।
ধারণা করা হচ্ছে, উত্তর কোরিয়া দূরপাল্লার এমন ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করার চেষ্টা করছে যেগুলো পরমাণু ওয়ারহেড বহন করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ডে আঘাত করতে পারে।
তবে ওয়াশিংটনের সঙ্গে খারাপ সম্পর্ক থাকার পরও সম্প্রতি পিয়ংইয়ং বলেছে, ‘যদি পরিস্থিতি অনুকূলে আসে’ তাহলে দেশটি আমেরিকার সঙ্গে আলোচনায় বসবে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার আগ্রহ প্রকাশ করার পর দেশটির একজন কূটনীতিক ওই প্রস্তুতির কথা ঘোষণা করেছিলেন। ট্রাম্প চলতি মাসের গোড়ার দিকে বলেছিলেন, তিনি কিম জং-উনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারলে নিজেকে ধন্য মনে করবেন।