দেশের দরিদ্রতম ১০ কোটি মানুষের সমান সম্পদের মালিক মাত্র চারজন ব্যক্তি! বৈষম্যের এমনই চিত্র উঠে এসেছে ইন্দোনেশিয়ার ধনী-দরিদ্র বিষয়ক এক প্রতিবেদনে। বৈষম্যের বিরুদ্ধে দেশটির প্রেসিডেন্টের বারবার লড়াইয়ের আহ্বান সত্ত্বেও ‘অক্সফোর্ড কমিটি ফর ফেমিন রিলিফ’র (অক্সফ্যাম) প্রতিবেদনে এই তথ্য দেখা গেছে।
মঙ্গলবার দাতব্য সংস্থাটির এক প্রতিবেদনে ইন্দোনেশিয়াকে বিশ্বের সবচে বৈষম্যমূলক দেশগুলোর একটি বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। এতে ২০১৬ সালের এক হিসাব তুলে ধরে বলা হয়, দেশটিতে শীর্ষ চার ধনীর হাতে রয়েছে ২৫ বিলিয়ন ডলার, যা সেখানকার ১০ কোটি মানুষের মোট সম্পদের চেয়ে বেশি। ওই বছরের হিসাবে, দেশটির জনসংখ্যা সাড়ে ২৫ কোটি।
ইন্দোনেশিয়ার চার ধনী ব্যক্তির একজনের একদিনের আয় দরিদ্র ইন্দোনেশীয়দের এক বছরে মৌলিক চাহিদা মেটাতে যা খরচ হয় তার চেয়ে এক হাজারগুণ বেশি। দেশটির ওই ধনী চার ব্যক্তির মধ্যে রয়েছেন ফোর্বসের সম্পদশালী তালিকায় থাকা সিগারেট টাইকুন বুদি হার্তনো, মিখায়েল হার্তনো এবং সুসিলো ওনোইদজোজো।
অক্সফ্যামের প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, অর্থনৈতিক উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে ইন্দোনেশিয়ায় দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাসরত জনগোষ্ঠীর সংখ্যা কমেছে। তবে গত ২০ বছরে দক্ষিণ এশিয়ার অন্য যেকোনো দেশের তুলনায় ধনী-দরিদ্রের ব্যবধান বেড়েছে সেখানে।
উচ্চ প্রবৃদ্ধির সুবিধা সবাই না পাওয়ার কারণে ইন্দোনেশিয়ার কোটি কোটি মানুষ এখনো পিছিয়ে আছে বলেও এতে উল্লেখ করা হয়।
এর আগে ১৬ জানুয়ারি অক্সফ্যামের এক প্রতিবেদনে বেরিয়ে আসে, বৈশ্বিক বৈষম্যের এক বিপজ্জনক চিত্র। এতে বলা হয়, বিশ্বের সবচে ধনী আট ধনকুবেরের হাতে দরিদ্রতম ৫০ শতাংশ মানুষের সমপরিমাণ সম্পদ কুক্ষিগত হয়ে আছে।
তখন অক্সফ্যামের তালিকায় সবচে ধনী ব্যক্তি হিসেবে উঠে আসে মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটসের নাম। এছাড়া তালিকায় আছেন স্পেনের ফ্যাশন প্রতিষ্ঠান জারা’র প্রধান আমানিকো ওর্তেগা, ব্যবসায়ী ওয়ারেন বাফেট, ফেসবুক প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ এবং আমাজনের মালিক জেফ বেজোস। ওই আট ধনকুবের মিলে মোট ৪২৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ সম্পদের মালিক। তাদের এই সম্পদ পৃথিবীর ৩৬০ কোটি মানুষের সম্পদের সমান।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান