অক্টোবর-ডিসেম্বর প্রান্তিকে লোকসান হতে পারে বলে জানিয়েছে এলজি ইলেকট্রনিকস। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সেলফোনের পাশাপাশি গৃহস্থালি পণ্যের বিক্রি কমায় প্রতিষ্ঠানটির সার্বিক আয়ে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। এর মধ্য দিয়ে ছয় বছরে প্রথমবারের মতো লোকসানে পড়তে যাচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিষ্ঠানটি।
বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ এ টেলিভিশন নির্মাতার অবস্থান স্যামসাং ইলেকট্রনিকসের পরই। এলজির তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের চতুর্থ প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) প্রতিষ্ঠানটি সাড়ে ৩ হাজার কোটি ওনের লোকসানে পড়তে পারে। এলজির ধারণা সত্যি হলে ২০১০ সালের চতুর্থ প্রান্তিকের পর এটাই সবচেয়ে বড় লোকসানের খতিয়ান।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিষ্ঠানটির তথ্য অনুযায়ী, চতুর্থ প্রান্তিকে এলজির রাজস্ব ১ দশমিক ৫ শতাংশ বেড়ে ১৪ দশমিক ৮ ট্রিলিয়ন ওনে ঠেকতে পারে। তবে আয় নিয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি কোম্পানিটি। চলতি মাসের শেষ নাগাদ ব্যবসার সামগ্রিক চিত্র তুলে ধরে বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে। গৃহস্থালি পণ্য বিক্রি কমতির দিকে থাকায় চতুর্থ প্রান্তিকে মুনাফা কমার আশঙ্কা অক্টোবরের শুরুতেই প্রকাশ করেছিল এলজি। চতুর্থ প্রান্তিকে জি৫ স্মার্টফোন উন্মোচন করে এলজি। এ ডিভাইস তেমন সাড়া জাগাতে পারেনি। এর পরিপ্রেক্ষিতে পরিচালন লোকসানের পূর্বাভাস দিয়েছিলেন কয়েকজন বিশেষজ্ঞও। তারা বলছেন, উচ্চমানের লিকুইড ক্রিস্টাল ডিসপ্লের দাম চতুর্থ প্রান্তিকে কমেছে। এটিও এলজির লোকসানের
অন্যতম কারণ। এলজির আয়ের পূর্বাভাসের পরিপ্রেক্ষিতে প্রভাবিত হয়েছে এর শেয়ারদরও। শুক্রবার প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারের দাম কমেছে ১ দশমিক ৯ শতাংশ। প্রতিষ্ঠানটি চতুর্থ প্রান্তিকে লোকসানের সম্মুখীন হলেও বছরজুড়ে ১ দশমিক ৩৩ ট্রিলিয়ন ওন পরিচালন মুনাফার খতিয়ান প্রকাশ করতে পারে বলে আশা করছেন বিশ্লেষকরা। এ অংক ২০১৫ সালের তুলনায় ১২ দশমিক ২ শতাংশ বেশি। এ সময় প্রতিষ্ঠানটি ৫৫ দশমিক ৩ ট্রিলিয়ন ওনের পণ্য বিক্রিতে সক্ষম হয়েছে। এ হার আগের বছরের চেয়ে ২ শতাংশ কম।