Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

sam-7অগ্নিঝুঁকিতে থাকা গ্যালাক্সি নোট ৭-এর ব্যাটারি নিজস্ব পরীক্ষাগারে পরীক্ষা করেছিল স্যামসাং। দক্ষিন কোরীয় টেকজায়ান্টের এ রীতি অন্য উৎপাদকদের চেয়ে ভিন্ন। খবর ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল।

স্মার্টফোন নির্মাতাদের যুক্তরাষ্ট্রের ওয়্যারলেস ইন্ডাস্ট্রির ব্যবসা গ্রুপ সেলুলার টেলিফোন ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশন (সিটিআইএ) অনুমোদিত ২৮টি পরীক্ষাগারের একটিতে ব্যাটারি পরীক্ষা করাতে হয়। এতে ইনস্টিটিউট অব ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ার্স প্রণীত মান সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়। অ্যাসোসিয়েশরে তথ্য অনুযায়ী, সিটিআইএ নিবন্ধনের জন্য নিজস্ব পরীক্ষাগারে ব্যাটারি পরীক্ষার উদ্যোগ নিয়েছে একমাত্র স্যামসাংই।

chardike-ad

মার্কিন গবেষণা প্রতিষ্ঠান গার্টনারের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের অন্যতম স্মার্টফোন নির্মাতার ব্যাটারি সংকট সেলফোনের ব্যাটারি পরীক্ষার বিষয়টিকে গুরুত্বপূর্ণ করে তুলতে সহায়তা করছে। অ্যাপল ইনকরপোরেটেড বলছে, সিটিআইএ নিবন্ধিত তৃতীয় পক্ষের পরীক্ষাগারে আইফোনসহ বিভিন্ন পণ্যে ব্যবহূত ব্যাটারি পরীক্ষা করা হয়। হুয়াওয়ে টেকনোলজিস এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানায়। সিটিআইএ নিবন্ধিত ব্যাটারি পরীক্ষাগার ছিল লেনোভো গ্রুপ লিমিটেডের মটোরোলা ও মাইক্রোসফট করপোরেটেডের নকিয়ারও। কিন্তু এ দুই প্রতিষ্ঠানের গবেষণাগারের কার্যক্রম এখন বন্ধ। মটোরোলার তথ্য অনুযায়ী, নিজস্ব পরীক্ষাগারেই এখন প্রতিষ্ঠানটি ব্যাটারি পরীক্ষা করে। কিন্তু সিটিআইএর নিবন্ধনের জন্য ব্যবহার করে তৃতীয় পক্ষের গবেষণাগার। মাইক্রোসফট এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে অপারগতা প্রকাশ করে।

স্যামসাংয়ের মুখপাত্র বলছেন, প্রকৃত ও বদলে দেয়া গ্যালাক্সি নোট ৭ ডিভাইসে অভ্যন্তরীণ গবেষণাগার কোনো সমস্যা এখনো খুঁজে পায়নি। আগস্টে উন্মোচন হয় গ্যালাক্সি নোট ৭। এর পরই পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গা থেকে এ হ্যান্ডসেট বিস্ফোরণের খবর আসে। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত মাসে বিক্রীত ডিভাইসগুলো ফিরিয়ে নেয়ার পাশাপাশি বাজার থেকে স্যামসাং প্রত্যাহার করে নেয় নোট ৭। কিন্তু বদলি হ্যান্ডসেটে আগুন ধরে যাওয়ার খবর প্রকাশ হওয়ার পর উত্পাদন ও বিক্রি বন্ধ করে দেয় প্রতিষ্ঠানটি।

শুক্রবার স্যামসাং এক বিবৃতিতে জানায়, নোট ৭ সংকট কেন্দ্র করে মান নিশ্চয়তা প্রক্রিয়ায় উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। তবে এ পরিকল্পনায় তৃতীয় পক্ষের গবেষণাগারের সহায়তা নেয়া হবে কিনা, সে বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানায় টেকজায়ান্ট।

সিটিআইএর প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা (সিটিও) টম সাওয়ানোবরি জানান, পরীক্ষাগারের কর্মীরা কাজটির জন্য উপযুক্ত কিনা, বিষয়টি অ্যাসোসিয়েশন নিশ্চিত করে অডিটের মাধ্যমে। পরীক্ষাগারগুলোয় রয়েছে পৃথক সুবিধা। এছাড়া পৃথক নিয়ন্ত্রণের অধীনে কাজ করে থাকে এগুলো। টমের তথ্য অনুযায়ী, আমরা দেড় হাজারের বেশি ব্যাটারি নিবন্ধন করেছি। এবারই প্রথমবারের মতো কোনো ইস্যু মেনে কাজ করতে হচ্ছে আমাদের।

ব্যাটারি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ২০০০ সালের প্রথম দিকে বিশ্বব্যাপী সেলফোনের বাজারের উত্থান শুরু হয়। ওই সময় অনেক অনভিজ্ঞ উত্পাদক সস্তাদরের ব্যাটারি তৈরি করে। এটিই ব্যর্থতাকে বাড়ানোর অন্যতম কারণ। এর পরিপ্রেক্ষিতেই ২০০৫ সালে ব্যাটারি পরীক্ষার জন্য নেয়া হয় এক স্বেচ্ছাসেবী কর্মসূচির। এ নিয়ে কাজ করছে সিটিআইএ, ইউএস কনজিউমার প্রডাক্ট সেফটি কমিশন ও আইইইই। ২০০৯ সাল থেকে অভ্যন্তরীণ সিটিআইএ-নিবন্ধিত পরীক্ষাগারে হ্যান্ডসেট পরীক্ষা করছে স্যামসাং। চার্জ দেয়া অথবা ব্যবহারের সময় ব্যাটারি ঠিকমতো কাজ করছে কিনা, পরীক্ষায় সেটিতেই বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়। স্যামসাংয়ের একজন মুখপাত্র বৃহস্পতিবার জানান, গ্যালাক্সি নোট ৭ বিস্ফোরণের কারণ নির্ণয়ে কাজ চলছে। এ নিয়ে তদন্ত এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। স্যামসাং এ পরিস্থিতি থেকে শিগগিরই মুক্তি পাবে বলে আশা করছেন সবাই।বণিক বার্তা।