Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

download (12)মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস) যুক্তরাষ্ট্র বা যুক্তরাজ্যকে ভয় পায় না। এটির একমাত্র ভয় মধ্যপ্রাচ্যের ইহুদি রাষ্ট্র ইসরায়েল। আইএসের সঙ্গে অবস্থান করেও বেঁচে যাওয়া একমাত্র পশ্চিমা সাংবাদিক ইয়োগেন টডেনহুফার এ দাবি করেছেন।

জার্মান সাংবাদিক ইয়োগেন টডেনহুফার গত বছর আইএস অধিকৃত ইরাকের মসুল শহরে ১০ দিন অবস্থান করেন। পরে নিজেই সংগৃহীত তথ্য দিয়ে একটি বই লেখেন তিনি। এই বইয়ে ইয়োগেন আইএসের ইসরায়েল-ভীতির কথা জানান।

chardike-ad

‘জিউয়িশ নিউজের’ এক সাক্ষাৎকারের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দি ইনডিপেনডেন্ট জানায়, প্রথমদিকে আইএসের এলাকা দখলের পরিকল্পনায় ইসরায়েলকে রাখা হয়নি।

আইএস যোদ্ধাদের কাছ থেকে ইয়োগেন টডেনহুফার জেনেছেন, তাঁরা ইরায়েলের সেনাবাহিনীকে অত্যন্ত শক্তিশালী মনে করে। এ কারণেই দেশটিকে ভয় তাঁদের।

আইএস যোদ্ধারা মনে করে, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের পদাতিক সেনাদের হামলাও তাঁরা প্রতিহত করতে পারবে। কারণ শহরে গেরিলা হামলা এবং জঙ্গিগোষ্ঠীর যুদ্ধ পরিকল্পনার সঙ্গে দেশ দুটির সেনারা পরিচিত নয়। তবে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী গেরিলা এবং সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইয়ে বেশ দক্ষ। ইয়োগেন টডেনহুফারের সঙ্গে সাক্ষাৎ ঘটা সব আইএস যোদ্ধাই ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিএফকে ‘আসল বিপদ’ মনে করেন।

ইনডিপেনডেন্ট জানায়, আইএসের প্রকাশিত কয়েকটি ভিডিওতে ইসরায়েল ও ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের হুমকি দেওয়া হয়েছে। এমন হুমকি দেওয়া হয়েছে জেরুজালেমে কোনো ইহুদি থাকবে না। হুমকিতে আরো বলা হয়, ইহুদি ধর্ম নামক ‘রোগ’ পৃথিবী থেকে মুছে দেওয়া হবে।

ধারণা করা হয়, আইএস সমর্থিত গোষ্ঠী ফিলিস্তিন অধিকৃত গাজায় অবস্থান নিয়েছে। তবে এখনো ইসরায়েল এবং এর অধিকৃত ফিলিস্তিন এলাকায় কোনো হামলার দায় স্বীকার করেনি আইএস।

ইনডিপেনডেন্ট জানায়, ইরাক ও সিরিয়ায় আইএসবিরোধী যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন জোটে ইসরায়েল অন্তর্ভুক্ত হয়নি। তবে দেশটির গোয়েন্দারা জোটের মিত্রদের কাছে আইএস সম্পর্কে তথ্য দিচ্ছেন বলে ধারণা করা হয়।