আগামী এক বছরের মোট খরচ ৩ লাখ ৪০ হাজার ৬০৫ কোটি টাকা ধরে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত জাতীয় সংসদে ২০১৬-১৭ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব উত্থাপন করেছেন।
এবারের বাজেটের দর্শন- প্রবৃদ্ধি, উন্নয়ন, সমতাভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণের অগ্রযাত্রা।
প্রস্তাবিত বাজেট গত অর্থবছরের চেয়ে ৪৫ হাজার ৫০৫ কোটি টাকা বেশি। গত অর্থবছরে জাতীয় সংসদে উপস্থাপিত বাজেটের আকার ছিল দুই লাখ ৯৫ হাজার ১০০ কোটি টাকা।
গতবারের তুলনায় এবার বাজেটের আকার বাড়ছে ১৭ দশমিক ৪ শতাংশ।
এবারের বাজেটে অনুন্নয়ন ব্যয় ২ লাখ ১৫ হাজার ৭৪৪ কোটি টাকা, উন্নয়ন ব্যয় ১ লাখ ২৩ হাজার ৩’শ ৪৫ কোটি টাকা, রাজস্ব আয় এবং অনুদান মিলে মোট আয় ধরা হয়েছে ২ লাখ ৪৮ হাজার ২’শ ৬৮ কোটি টাকা, সার্বিকভাবে ঘাটতি ৯২ হাজার ৩’শ ৩৭ কোটি টাকা
কোন খাত থেকে কত রাজস্ব আসবে?
মোট বাজেটের অর্ধেকের বেশি আসবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নিয়ন্ত্রিত কর থেকে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড নিয়ন্ত্রিত কর ৫৯.৭ শতাংশ অর্থাৎ, ২ লাখ ৩ হাজার ১৫২ কোটি টাকা। এরমধ্যে মূল্য সংযোজন কর বা (ভ্যাট) ৩৫.৮ শতাংশ, আমদানি শুল্ক ১১.১ শতাংশ, আয়কর ৩৫.৪ শতাংশ, সম্পূরক শুল্ক ১৪.৮ শতাংশ এবং অন্যান্য ২.৯ শতাংশ।
এছাড়া জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বহির্ভূত কর থেকে আসবে ২.১ শতাংশ।
কর ছাড়া প্রাপ্তি ৯.৫ শতাংশ ও অভ্যন্তরীণ অর্থায়ন থেকে ১৮.১ শতাংশ ধরা হয়েছে। বৈদেশিক ঋণ থেকে ৯ শতাংশ ও বৈদেশিক অনুদান ধরা হয়েছে ১.৬ শতাংশ।
২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে রাজস্ব আয় ধরা হয়েছে দুই লাখ ৪২ হাজার ৭৫২ কোটি টাকা। ঘাটতি ধরা হয়েছে ৯৭ হাজার ৮৫৩ কোটি টাকা। অনুন্নয়ন ব্যয় ধরা হয়েছে দুই লাখ ১৫ হাজার ৭৪৪ কোটি টাকা।