জামায়াতের আমীর মতিউর রহমান নিজামীর মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আপিলে মৃত্যুদন্ড বহালের রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে দায়ের করা আবেদনের ওপর শুনানি শেষে ৫ মে বৃহস্পতিবার রায় ঘোষণার দিন ধার্য করা হয়েছে।
প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে আপিল বিভাগের চার বিচারপতির বেঞ্চ আজ এ আদেশ দেয়। বেঞ্চের অন্য সদস্যরা হলেন- বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
সকাল সোয়া ৯টা থেকে ১০টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত নিজামীর পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন তার প্রধান আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন। এরপর রায় বহাল রাখার পক্ষে এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম রাষ্ট্রপক্ষে যুক্তি উপস্থাপন শুরু করেন। মাঝে আধা ঘণ্টার বিরতি শেষে এটর্নি জেনারেল তার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করেন। এরপর আদালত রায়ের জন্য দিন ধার্য করে দেয়।
নিজামী মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আপিলেও মৃত্যুদন্ড বহালের রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে গত ২৯ মার্চ আবেদন দায়ের করে। নিজামীর ছেলে ব্যারিস্টার নাজিব মোমেন বলেন, ৭০ পৃষ্ঠার মূল রিভিউর আবেদনের সঙ্গে মোট ২২৯ পৃষ্ঠার নথি পত্রে তার দন্ড থেকে খালাস চেয়ে ৪৬ টি যুক্তি তুলে ধরা হয়েছে। নিজামীর মৃত্যুদন্ড বহালের পূর্ণাঙ্গ রায় গত ১৫ মার্চ প্রকাশ করে আপিল বিভাগ। রায় প্রকাশের পর নিয়ম অনুযায়ী ১৫ দিনের মধ্যে রিভিউ আবেদন দায়ের করার সূযোগ রয়েছে। সে অনুযায়ি রিভিউ দায়ের করে আসামিপক্ষ।
নিজামীর মৃত্যুদন্ড বহাল রেখে ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে আনা আপিলের রায় গত ৬ জানুয়ারি ঘোষণা করেছে আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে আপিল বিভাগের চার বিচারপতির বেঞ্চ আদালতে জামায়াতের এ শীর্ষ নেতার বিষয়ে রায়ের সংক্ষিপ্ত অংশ প্রকাশ করেন।
বেঞ্চের অন্য সদস্যরা হলেন- বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। রায় প্রদানকারী বিচারপতিদের স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে ১৫ মার্চ পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হয়। ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আসা এটি ষষ্ঠ মামলা, যার রায় হল। এখন এ রায় রিভিউ’র আবেদন নিষ্পত্তির অপেক্ষায়।
উল্লেখ্য,ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের একটি মামলায় ২০১০ সালের ২৯ জুন মতিউর রহমান নিজামীকে গ্রেফতার করার পর একই বছরের ২ অগাস্ট তাকে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। সে থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন।