বোঝেন কান্ড! আপনি হলে কি করতেন? বিয়ের সাধ শিকায় তুলে রাখতে হত! সম্প্রতি এক সমীক্ষায় কোরিয়ান সমাজের এমনি এক চিত্র উঠে এসেছে। যেখানে বিয়ের বয়সের ২৮-৩৫ বছরের পুরুষ এবং ২৬-৩৩ বছরের নারীর অনুপাত ৬:১ ! চোখ কপালে উঠার মতই বিষয়।
১৯৮১-১৯৮৮ সালের মধ্যে জন্মগ্রহণকারী পুরুষের সংখ্যা ১৯৮৩-১৯৯০ সালে জন্মগ্রহণকারী নারীর তুলনায় ১৪.৫ শতাংশ বা ৩৭০,০০০ বেশী। আর এই চিত্রটিই পুরুষদের বিয়ের জন্য হাহাকার করার জন্য যথেষ্ট। আর তাই ক্রমবর্ধমান বেকারত্ব বৃদ্ধির সাথে সাথে বিয়ের বয়সও বিলম্বিত হওয়া সমান্তরাল হচ্ছে। লিঙ্গ অনুপাতের এই চিত্র ২০১৮ সাল পর্যন্ত ভয়াবহ। ২০১৯-২০২৪ সালে কিছুটা স্থির, তারপর ২০২৫-২০৩৭ সালে আবার নারীর তুলনায় পুরুষ ১০ শতাংশ বেশী হতে পারে।
অনুপাতের ব্যবধানের কারণ
একটা সময় ছেলে শিশু অগ্রাধিকার এর ফলে ক্রমাগত মেয়ে শিশু হত্যা করা হয়। আর ভ্রণ হত্যা প্রযুক্তি আল্ট্রাসাউন্ড ১৯৮০ সালেই কোরিয়ানদের হাতে এসে যায়। আর এতে প্রতিবছর মেয়ে শিশু ৩০,০০০ ভ্রণ নষ্ট হত। এইটাকে অন্যতম প্রধান কারণ মনে করা হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞদের প্রতিক্রিয়া
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন কোরিয়ান সমাজ মূলত সমসাময়িক সাংস্কৃতিক আগ্রাসন দ্বারা চরমভাবে প্রভাবিত হয়। এর ফলে অনেক পুরুষ তার স্ত্রী বা সংগী খুঁজে পেতে ব্যর্থ হয়। বিশেষ করে অশিক্ষিত বা নিম্ন আয়ের পুরুষরা আক্ষরিক অর্থেই কনে পেতে ব্যর্থ হয়। এর প্রভাবে যুবকদের মধ্যে হতাশা তৈরী হয় আর নারীদের প্রতি সহিংস হয়। সিউল ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক চো ইয়ং তায়ে বলেন, পুরুষদের মধ্যে যারা সঙ্গী খুঁজে পেতে ব্যর্থ হয় তারা আরও সহিংস এবং যৌন নির্যাতনের মত অপরাধে লিপ্ত হয়।
সজীব দাস, ইনছন (sajib775@gmail.com)।