রফতানিতে ধস নেমেছে। মূল্যস্ফীতিও প্রয়োজন অনুযায়ী বাড়ছে না। এ অবস্থায় অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার প্রণোদনা কর্মসূচি গ্রহণ করতে যাচ্ছে। বুধবার প্রথম প্রান্তিকের জন্য প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করা হবে। খবর রয়টার্স ও এএফপি।
চীনের অর্থনীতির শ্লথগতি বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধির ওপর প্রভাব ফেলছে। দক্ষিণ কোরিয়ার রফতানিনির্ভর অর্থনীতিও তার প্রভাব এড়িয়ে যেতে পারেনি। ফলে এশিয়ার চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতির দেশটির অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, অর্থনীতির গতি ধরে রাখতে পদক্ষেপ গ্রহণ করবে সিউল।
ব্যবসায়ী লবি গ্রুপগুলোর সঙ্গে এক বৈঠকে অর্থমন্ত্রী জানান, চীনের শেয়ারবাজারের অস্থিতিশীলতার সূত্রে সৃষ্ট অনিশ্চয়তা বেড়েই চলেছে। ফলে অর্থনীতিকে সহায়তা প্রদানমূলক পদক্ষেপ ঘোষণা করা হবে।
গত সোমবার রফতানি ২০০৯ সালের পর সর্বোচ্চ কমে যাওয়ার খবর প্রকাশের পর পরই এ কথা জানিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে জানুয়ারিতে ভোক্তামূল্য সূচক এক বছর আগের তুলনায় দশমিক ৮ শতাংশ বেড়েছে। যেখানে ডিসেম্বরে তা ১ দশমিক ৩ শতাংশ বেড়েছিল।
জেপি মরগানের অর্থনীতিবিদ পাক সিউক-গিল এ প্রসঙ্গে জানান, ‘গত মাসে মূল্যস্ফীতির অবস্থা ভালো ছিল না; রফতানির পরিস্থিতিও ছিল ভয়াবহ। তবে এগুলো সাময়িক কিনা, তা অনুধাবনে কিছু সময় প্রয়োজন আমাদের। এ সময়ে বড় ধরনের কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ খুব সহজ হবে না সরকারের জন্য।’
বিশ্ল্লেষকরা বলছেন, মূলত কর্মসংস্থানে প্রবৃদ্ধি হবে এমন প্রণোদনা পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। সরকারি ব্যয় অতিরিক্ত বৃদ্ধি-সংক্রান্ত কোনো প্রণোদনা থাকবে না এ প্যাকেজে। বণিকবার্তা।