ব্যাংক কর্মকর্তা গোলাম রাব্বী ও ডিএসসিসি কর্মকর্তা বিকাশের পর এবার রাজধানীর পল্টনে আইয়ুব আলী (৩৮) নামে ব্যাংক এশিয়ার সহযোগী প্রতিষ্ঠান ইরা ইনফোটেক্সের এক অফিস সহকারীকে (পিয়ন) পিটিয়ে রক্তাক্ত করার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে।
বুধবার বেলা দেড়টার দিকে তোপখানা রোডে মেহেরবা প্লাজার সামনে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত কনস্টেবল শাহবাগ থানায় কর্মরত। তিনি পিয়ন আইয়ুব আলীর কাছে থাকা চেক, ব্যাগ, মোবাইল ফোন সেট ও মানিব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে তাকে একটি বাসের ভেতর আটকে রাখেন। এ সময় উপস্থিত পথচারীরা ওই কনস্টেবলকে ঘিরে ফেললে এক উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। পরে শাহবাগ থানার অপারেশন অফিসার শাহীন ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুঃখ প্রকাশ করে বিষয়টি সমঝোতা করেন। ফেরত দেয়া হয় ছিনিয়ে নেয়া মালামাল।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘটনার সময় একটি মোটরসাইকেলকে পেছন থেকে শিকড় পরিবহনের একটি বাস ধাক্কা দেয়। এ সময় দুই-তিন যুবক ওই বাসের চালক ও হেলপারের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে পড়েন। একপর্যায়ে বাসচালক গাড়ি রেখে পালিয়ে যান। তখন মোটরসাইকেল চালকসহ দুই যুবক গাড়িটি ভাঙচুর করে। পুলিশ খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে যায়।
বাস যাত্রীরা পুলিশকে জানায় যে, ২ থেকে ৩ জন যুবক বাসচালককে মারধর করেছে। এ সময় মেহেরবা প্লাজায় ইরা ইফোটেক্সের শাখা থেকে ইউনিফর্ম পরিহিত পিয়ন আইয়ুব আলী ওই পথ দিয়ে যাচ্ছিলেন। পুলিশ তাকে ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করে। এমনকি মাহবুব নামের এক কনস্টেবল তাকে মারধর করেন। একপর্যায়ে তাকে পুলিশের গাড়ির ভেতর নিয়ে আটকে রেখে আবারো মারধর করেন। এতে আইয়ুব আলী আহত হন। পরে পুলিশের হাত থেকে স্থানীয় জনতা তাকে উদ্ধার করে।
একপর্যায়ে জনতা ক্ষুব্ধ হয়ে পুলিশ কনস্টেবল মাহবুবকে ওই বাসে আটকে রেখে শাহবাগ থানায় খবর দেয়। পরে থানার অপারেশন অফিসার শাহীন গিয়ে তাদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতির সামাল দেন।
এ বিষয়ে শাহবাগ থানার ওসি আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ‘ঘটনাটি নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। ব্যাংক কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে তা মীমাংসা করা হয়েছে। পুলিশ ব্যাংক কর্মকর্তাদের কাছে এ ব্যাপারে ক্ষমাও চেয়েছে।’
এদিকে ব্যাংক এশিয়ার সহযোগী প্রতিষ্ঠান ইরা ইফোটেক্স লিমিটেডের উপ-ব্যবস্থাপক (এইচআর) মো. ইকবাল হোসেন বলেন, ‘পুলিশ ভুল বুঝে তাদের এক কর্মীকে মারধর করেছে। বিষয়টি বুঝতে পেরে তারা দুঃখ প্রকাশ করেছে।’