পৃথিবীতে বসবাস করেও এই পৃথিবী নামক গ্রহ সম্পর্কে কতটা জানেন, তা কি কখনো ভেবে দেখেছেন? কখনো কী বোঝার চেষ্টা করেছেন পৃথিবীর অজানা বিস্ময়, রহস্য, পশুপাখি এ সবকিছুই একই সূত্রে গাঁথা। পৃথিবী সম্পর্কে জানার অনেক কিছুই রয়েছে। পৃথিবীর বিস্ময়কর পাঁচটি তথ্য নিয়ে সাজানো হয়েছে আজকের এ প্রতিবেদন।
চাঁদের সংখ্যা পাঁচ : পাঁচটি চাঁদ! হ্যাঁ, এটাই সত্যি! যদিও আকাশে একটাই চাঁদ দেখা যায়। প্রকৃত পক্ষে, বাকি চারটা চাঁদ নয়। তবে দেখতে চাঁদের মতো। এরা চাচ্ছে পৃথিবীর কক্ষ পথের সঙ্গে যুক্ত হতে। পৃথিবীর কক্ষপথের সবচেয়ে বড় বস্তুটিকে ক্রইথন বলা হয়। যা পৃথিবীর সৌর কক্ষপথের বাইরে ও ভেতরে প্রায় ৫ কিলোমিটার একটি উপবৃত্তাকার কক্ষপথের সঙ্গে জুড়ে আছে।
পৃথিবী জিওড আকৃতির গ্রহ : পৃথিবী যদি অন্তহীন ইলাস্টিক হয়, তবে পৃথিবী মুক্তভাবে বিভিন্ন আকর্ষণে সারা দিত। আর অদ্ভুত ধরনের বিকৃত আকার ধারণ করত। যেমন- যদি সম্পূর্ণ পৃথিবী পানিতে ঢাকা থাকত, তাহলে এর আকৃতি যে আকার ধারণ করতো, তা একটি বিকৃত জিওড হতো।
পৃথিবী সম্পূর্ণরূপে কমলাকার উপগোলকার নয় : আসলে পৃথিবীটা একটি কমলাকার। যা উপগোলাকারের তুলনায় অনেক জটিল। সৌরমণ্ডলের চাঁদ, সূর্য এরা প্রতিনিয়তই পৃথিবীকে মাধ্যাকর্ষণ শক্তির মাধ্যমে পরস্পরকে টানাটানি করছে। এ সব আসলে-ই অনেক জটিল। মাধ্যাকর্ষণে ফিরে আসা যাক। যেমন- চাঁদ ভূ-পৃষ্ঠের মহাসাগরের জোয়ারকে স্ফীত করে। এ সব কারনে আমাদের গ্রহ কমলাকার উপগোলকারের মতো নয়।
পৃথিবী বড় হচ্ছে : পৃথিবী প্রতিনিয়ত বড় হচ্ছে। আর এই কাজটা আমরাই করছি। প্রতিদিন প্রায় ২০-৪০ টন আবর্জনা আমরা যুক্ত করছি। যার বেশীরভাগ-ই হচ্ছে ক্ষুদ্র ধুলি কণা। যা বায়ুমণ্ডলে পুড়ে আবার আমাদের ভুমিতেই ফিরে আসছে। ফলে বড় হচ্ছে পৃথিবী।
পৃথিবী বিলিয়ার্ড বলের মতো মসৃণ : বিশ্ব পুল-বিলিয়ার্ড এসোসিয়েশনের তথ্য অনুযায়ী, একটি বিলিয়ার্ড বলের ব্যাস ২.২৫ ইঞ্চি। আর এই বলে কোনো ফাটল বা অন্য কোনো বাধা থাকতে পারবে না। সেই অনুযায়ী, পৃথিবীর ব্যাস ১২.৭৩৫ কিলোমিটার। টেকনিক্যালি ১২.৭৩৫ কিলোমিটার ব্যাস অনুযায়ী এর বিভিন্ন ফাটল আর উঁচুনিচু বাধা নিয়েও পৃথিবী একটি নিখুঁত বিলিয়ার্ড বল।