এটা স্মার্টফোনের দুনিয়া। একে আরো এগিয়ে নিতে ধারাবাহিক গবেষণা করে চলেছেন প্রযুক্তিবিদরা। গুগলের পরিচালক অপর্ণা চেন্নাপ্রাগাদা প্রতি একটি প্রশ্ন ছুঁড়ে দেয় ইনডিপেনডেন্ট। পাঁচ বছর পর স্মার্টফোনের চেহারা কেমন হবে? এর জবাব দেওয়ার চেষ্টা করেছেন তিনি।
অপর্ণা বলেন, খুব ভারী কাজ করতে সক্ষম হবে প্রযুক্তির অ্যাপ। এটা অনেক ভারী কিছু টেনে তোলার চেয়েও ওজনদার। তথ্যের ভাণ্ডার যখন যা চাই, তা-ই চলে আসবে আরো সহজে।
পরিচালক তুলে ধরেন ‘গুগল নাউ’ নামের ভার্চুয়াল অ্যাসিস্টেন্টের কথা। এই অ্যাপের ফিচার এবং কর্মপ্রক্রিয়া ভবিষ্যতের স্মার্টফোনকে কেন্দ্র করেই নির্ধারিত হচ্ছে। আগামীর মোবাইলে ভার্চুয়াল অ্যাসিস্টেন্ট হবে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
মোবাইল সবকিছু বদলে দেবে। এটা অনেকেই হয়তো একটু সন্দেহের দৃষ্টিতে তাকাবেন। কিন্তু এটাই ভবিতব্য, জানান অপর্ণা। চলার পথেই আপনি যেকোনো মানুষের সঙ্গে চাইলেই যোগাযোগ করতে পারছেন বা তাকে দেখতে পারছেন- এই সাধারণ বিষয়টি আসলে অসাধারণ বলে মনে করেন তিনি।
ডেস্কটপে আপনি অজ্ঞাতপরিচয় থেকে সার্চ করতে পারেন। স্মার্টফোনেও তা চলে আসবে। অনেক কাজ এখন স্মার্টফোনেও করা সম্ভব হচ্ছে। ইউবার-এ ফোন দিলে ট্যাক্সি ক্যাব চলে আসে। স্পটিফাই-এর মাধ্যমে গান পেয়ে যাচ্ছেন। এমন প্রায় সব কাজই সম্পন্ন করা যাবে স্মার্টফোনের মাধ্যমে।
আরেকটি বিষয় রয়েছে নাম যার ‘ক্রিপি লাইন’। এর কথা তুলে ধরেন পেপল-এর সাবেক সিইও ডেভিড মার্কাস জানান, ভার্চুয়াল অ্যাসিস্টেন্ট এমনিতেই আপনার সঙ্গী হয়ে কাজ করবে। একে আরো এগিয়ে নেওয়া হবে। আপনার ভবিষ্যত চাহিদা সরবরাহ করবে ভার্চুয়াল অ্যাসিস্টেন্ট। এই বিষয়টির বিদঘুটে নাম দেওয়া হয়েছে ‘ক্রিপি’।
গুগল নাউ নিয়ে কাজ করছেন অপর্ণা। পাঁচ বছর পর গুগল নাউ এমন একটা ফিচারে পরিণত হবে তা কেউ চিন্তা করতে পারবেন না বলে মনে করেন তিনি। বিশেষ অংশে বিশেষ শ্রেণির ব্যবহারকারীদের জন্যেই এটা প্রস্তুত হচ্ছে। ছোটখাটো অনেক অদ্ভুত বিষয় যোগ হবে। কোথায় গাড়ি পার্কিং করবেন তা জানানোর মতো কাজও করবে এটি।
এ ছাড়া ভবিষ্যতের স্মার্টফোনে অসংখ্য সেন্সর যুক্ত করা হবে। ব্যাটারি হবে দারুণ শক্তিশালী। স্মার্টফোন তার কাজে হবে নিখুঁত। আপনার জীবনের সঙ্গে পুরোপুরি মিশে যাবে স্মার্টফোন।