রবি ও এয়ারটেলকে শর্তসাপেক্ষে একীভূত হওয়ার প্রাথমিক অনুমোদন দিয়েছে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি। এখন চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য ছয়টি শর্তসহ বিটিআরসির সুপারিশ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।
বুধবার বিটিআরসির কমিশন সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিটিআরসি সূত্রে এ তথ্য পাওয়া গেছে। সূত্র জানায়, বিটিআরসির বেঁধে দেওয়া শর্তের মধ্যে প্রধান হচ্ছে একীভূত হওয়ার পর রবি বা এয়ারটেলের কোনও কর্মকর্তা-কর্মচারীকে চাকরিচ্যুত করা যাবে না।
কশিমন সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বিটিআরসির চেয়ারম্যান সুনীল কান্তি বোসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় ছয়টি শর্তে রবি ও এয়ারটেলকে একীভূত হওয়ার অনুমোদন দেওয়া হয়।
সূত্র জানায়, বৈঠকে রবি ও এয়ারটেলের পক্ষ থেকে দুটি কোম্পানি একীভূত হওয়ার আবেদনটি উপস্থাপন করা হয়। এরপর এর ওপর কমিশন সদস্যরা বিশদ আলোচনা করেন। তিন জন কমিশনার এবং দু’জন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা দুটি কোম্পানি একীভূত হওয়ার ব্যাপারে সুবিধা, টেলিযোগাযোগ খাতে এর প্রভাব নিয়ে আলোচনা করেন। আলোচনা শেষে ছয়টি শর্তে কোম্পানি দুটিকে একীভূত হওয়ার অনুমোদন দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
শর্তগুলোর মধ্যে প্রধান তিনটি শর্ত হচ্ছে— একীভূত হওয়ার পর রবি কিংবা এয়ারটেলের কোনও কর্মকর্তা-কর্মচারীকে চাকরিচ্যুত করা যাবে না, বিদ্যমান ডিলার এবং গ্রাহকসেবা কেন্দ্রও অপরিবর্তিত রাখতে হবে এবং গ্রাহক স্বার্থ সংরক্ষণ করতে হবে এবং সেবার মানে তারতম্য করা যাবে না।
এ ছাড়া একীভূত হওয়ার পর এয়ারটেল ও রবির বিদ্যমান রেডিও তরঙ্গ বা স্পেকট্রাম যোগ হয়ে যাবে। অর্থাৎ ১৮০০ ও ২১০০ মেগাহর্টজ ব্যান্ডে রবির কাছে থাকা ১৯ দশমিক ৮ মেগাহার্টজ তরঙ্গের সঙ্গে এয়ারটেলের ২০ মেগাহার্টজ যুক্ত হয়ে একীভূত কোম্পানি ‘রবি’র মোট স্পেকট্রাম দাঁড়াবে ৩৯ দশমিক ৮ মেগাহার্টজ, যা এই মুহূর্তে মোবাইল ফোন অপারেটরের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ পরিমাণ স্পেকট্রাম। এখন পর্যন্ত গ্রামীণ ফোনের একক সর্বোচ্চ ৩২ মেগাহার্টজ স্পেকট্রাম রয়েছে। এর বাইরে দুটি কোম্পানির শেয়ার সংক্রান্ত বিষয় নির্ধারণের ক্ষেত্রে কোম্পানি আইনের ২০৮ ধারা প্রযোজ্য হবে বলেও বিটিআরসির বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়।
মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, বিটিআরসির প্রাথমিক অনুমোদন মন্ত্রণালয়ের আসার পর বিষয়টি আবারও পর্যালোচনা করা হবে। এরপর মন্ত্রণালয় চূড়ান্ত অনুমোদন দিলে শেয়ার সংক্রান্ত বিষয়টি হাইকোর্টের সিদ্ধান্তের মাধ্যমে চূড়ান্ত হবে। এরপরই রবি ও এয়ারটেলের একীভূত হওয়ার আইনি ও প্রশাসনিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।(সমকাল)