Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

gulshanনিরাপত্তা শঙ্কায় অষ্ট্রেলিয়া যখন খেলোয়াড়দের ঢাকায় পাঠাবে কিনা তা নিয়ে দ্বিধা-দ্বন্দ্বে ঠিক তখনই খোদ রাজধানীর গুলশানের অভিজাত এলাকায় খুন হলেন অ্যাভেলা সিসেরা নামে এক ইতালীয় নাগরিক। সোমবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। কূটনৈতিক পাড়ার মতো স্পর্শকাতর এলাকায় এই খুনের ঘটনা নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। বরাবরের মতোই খুনিরা খুন করে পালিয়েছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের গুলশান জোনের অতিরিক্ত উপকমিশনার আব্দুল আহাদ জানান, সন্ধ্যা ৭টার দিকে গুলশান-২ এর ৯০ নম্বর সড়কে এই ঘটনা ঘটে।

গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর তাকে ইউনাইটেড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ডাক্তাররা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

chardike-ad

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অন্যান্য দিনের মতো জগিং করার জন্য তিনি মাগরিবের নামাজের পর পরই গুলশান-২ এলাকায় আসেন। ঘটনাস্থলে আসার পরই পিছন থেকে দুই যুবক তাকে লক্ষ্য করে গুলি করে।

প্রত্যক্ষ্যদর্শীরা আরও জানান, ঘটনাস্থলের অদূরে একটি মোটরসাইকেল পার্ক করা ছিল। গুলি করার পর পরই পার্ক করা ঐ মোটরসাইকেলে করে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। ঘটনার সময় ঐ এলাকার সড়ক বাতিগুলোও বন্ধ ছিল। কেন বন্ধ ছিল তার কারন জানাতে পারেনি পুলিশ।

পুলিশ জানিয়েছে সব দিক বিবেচনা করে দেখার পর মনে হচ্ছে, হত্যাকাণ্ডটি পূর্বপরিকল্পিত এবং ছিনতাইয়ের কারণে এই হত্যাকাণ্ড হয়নি। এ ব্যাপারে ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, নিহত ব্যক্তি ইতালীয় বংশোদ্ভূত।

পুলিশ জানায়, তিনি অন্যান্য দিনের মতো সন্ধ্যার পর ওই রাস্তায় জগিং করছিলেন। এ সময় তিনজন দুর্বৃত্ত এসে তাকে পরপর তিনটি গুলি করে। একটি গুলি তার বুকে এবং দুইটি পিঠে লাগে।

ঘটনাস্থলে ছুটে আসা পুলিশ কর্মকর্তা বলছেন, দুর্বত্তরা পালাতে পারবে না। ঐ এলাকায় বেশ কিছু সিসি ক্যামেরা রয়েছে। সিসি ক্যামেরার ছবি বিশ্লেষণ করে দুর্বৃত্তদের ধরা হবে।ঘটনার পর বিভিন্ন সূত্র থেকে তাকে মার্কিন নাগরিক বলা হলেও নাগরিকত্বের বিষয়টি নিশ্চিত করা যায়নি।

অ্যাভেলা সিসেরার পকেটে আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের একটি পরিচয়পত্র পাওয়া গেছে। তবে তিনি ওই প্রতিষ্ঠানটির কী দায়িত্বে ছিলেন তা উল্লেখ নেই।

প্রসঙ্গত, ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া জঙ্গি হামলার আশঙ্কায় বাংলাদেশ সফর পিছিয়ে দিয়েছে। এ ব্যাপারে বিস্তারিত যাচাই-বাছাই করতে অস্ট্রেলিয়ার একটি নিরাপত্তা প্রতিনিধি দল ঢাকা সফর করছেন। এমনই একটি মুহূর্তে এই হত্যাকান্ড ঘটলো। তবে এটা অস্ট্রেলিয়ার বাংলাদেশ সফরের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণে কোনো প্রভাব ফেলবে কিনা তা নিয়ে একটা শঙ্কাও থেকেই যায়।