এশিয়ার প্রথম দেশ হিসেবে সমকামী, উভকামী ও রূপান্তরকামী মানুষদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি দিল নেপাল। দক্ষিণ আফ্রিকা ও ইকুয়েডরের পর বিশ্বের তৃতীয় দেশ হিসেবে প্রান্তিক যৌনতার মানুষদের সমানাধিকার স্বীকৃতি দিল দক্ষিণ এশিয়ার দেশটি।
গতকাল রোববার সব মানুষকে সমানাধিকার দিয়ে ধর্ম নিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক নেপালের নতুন সংবিধানের অনুমোদন দেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রাম বরণ যাদব। এই অনুমোদনের জন্য পার্লামেন্ট সদস্যরা রাষ্ট্রপতিকে সমর্থন দেন।
নেপালের সংবিধানের আর্টিকাল ১২ অনুযায়ী প্রত্যেক নাগরিকের নিজের ইচ্ছামতো যেকোনো লিঙ্গের মানুষকে সঙ্গী হিসেবে বেছে নিতে পারবেন। ছেলে, মেয়ে বা তৃতীয় লিঙ্গের সব মানুষদের এই বিষয়ে সমানাধিকার থাকবে।
আর্টিকল ১৮ অনুযায়ী যৌনতা ও লিঙ্গ ভিত্তিতে সংখ্যালঘুদের ক্ষেত্রে রাষ্ট্র বা আইন কোনো রকম বৈষম্যমূলক আচরণ করতে পারবে না। এর সঙ্গেই যোগ করা হয়েছে যৌনতা ও লিঙ্গ ভিত্তিক সংখ্যালঘু ও অনান্য প্রান্তিক মানুষদের রক্ষা, উন্নয়নে সামিল, অধিকার রক্ষা করতে বিশেষ আইনি ব্যবস্থা নেবে সরকার।
আর্টিকল ৪২ অনুযায়ী এই প্রান্তিক মানুষরা রাষ্ট্রের যেকোনো সিদ্ধান্ত ও পাবলিক সার্ভিসে একইভাবে অংশীদার হতে পারবেন।
২০০৭ সালেই এলজিবিটি সম্প্রদায় ভুক্ত মানুষদের সমানাধিকার দেওয়ার লক্ষ্যে অগ্রসর হয়েছিল নেপালের সরকার। সে দেশের সুপ্রিমকোর্ট থেকে সরকারকে এই সংখ্যালঘু মানুষদের অধিকার রক্ষায় উদ্যোগী হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল সমলিঙ্গ বিবাহের আইনি স্বীকৃতির বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্যও।