Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

womanফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসের উপকন্ঠে মুসলমানদের একটি সম্মেলন চলাকালে দুই নারী নগ্নবক্ষা হয়ে সম্মেলনের মঞ্চে উঠে ‘প্রতিবাদ’ জানিয়েছে। তবে সেসময় সহিংসতার শিকার হয়েছেন তারা।

২৫ ও ৩১ বছ বয়সী এ দুই নারী নারীবাদী সংগঠন ‘ফেমেন’ এর সদস্য। তবে এ দুই নারীর নাম এখনো প্রকাশ করা হয়নি।

chardike-ad

প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা গেছে, সম্মেলন চলাকালে হঠাৎই নগ্নবক্ষা এ দু নারী মঞ্চে উঠে পড়ে। তারা মাইক্রোফোন ছিনিয়ে নেয় এবং প্রতিবাদ জানাতে থাকে। মাইক হাতে নিয়ে স্লোগান দিতে থাকে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফ-এর এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়; কট্টরপন্থী দুই আলোচক যখন ‘স্ত্রীকে প্রহার করা যাবে কী যাবে না’ বিষয়ে আলোচনা করছিলেন, সে সময়ই এ দু নারী মঞ্চে উঠে পড়েন। তাদের একজনের গায়ে লিখা ছিলো ’কেউ আমাকে ক্রীতদাস করতে পারবে না’ এবং অন্য নারীর গায়ে লেখা ছিল ‘আমিই আমার নবী’।

মাইক্রোফোন হাতে নিয়েই তারা ফ্রেঞ্চ ও আরবীতে বিভিন্ন নারীবাদী স্লোগান দিতে থাকেন।
তারা মঞ্চে উঠার পরপরই দুই আলোচক বিব্রত হয়ে স্টেজ ছেড়ে চলে যান। এর কিছুক্ষণ পর পুলিশ এসে প্রথম নারীকে মঞ্চ থেকে নিয়ে যায়। সম্মেলনে উপস্থিত আরো কিছু মানুষ মঞ্চে উঠে দ্বিতীয় নারীকে টেনে হিঁচড়ে বের করে নিয়ে যায়। এ সময় তাকে মারধর করতেও দেখা গেছে।

ফেমেন’র একজন মুখপাত্র ইনা শেভচেঙ্কো বলেন, উপস্থিত অনেকেই এদেরকে মারতে থাকে। তাদেরকে উদ্ধার করার জন্য তিনি পুলিশকে ধন্যবাদ জানান। জিজ্ঞাসাবাদের পর পুলিশ তাদের ছেড়ে দিয়েছে। সম্মেলনের উদ্যোক্তারা বলেছেন, তারা এ দুই নারীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করবেন।

উল্লেখ্য, ‘ফেমেন’ একটি আন্তর্জাতিক নারীবাদী সংস্থা যারা নারী অধিকার বাস্তবায়নে নগ্নবক্ষা হওয়াকে যারা প্রতিবাদের এক পদ্ধতি বলে মনে করেন

ভিডিওঃ