বিল গেটসের নাম বললেই আপনা আপনি ‘সর্বোচ্চ ধনী’ কথাটিও চলে আসে। মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা গেটস তার সম্পদ এবং দাতব্য কাজের জন্য সারা বিশ্বের মানুষের কাছেই সমানভাবে পরিচিত।
তবে সবার কাছে পরিচিত হলেও তার সম্পর্কে এমন কিছু তথ্য রয়েছে যা অনেকেরই অজানা। আর বিল গেটসের এসকল তথ্য যে কাউকেই অবাক করে দেওয়ার মতো। এমনই কিছু অবাক করা তথ্য আজ আপনাদের সামনে তুলে ধরা হলো:
১। পৃথিবীতে ‘বিল গেটস’ নামে যদি কোন দেশ থাকতো, তাহলে সেটি হতো ৬৩তম ধনী দেশ।
২। বিল গেটসের সম্পদের পরিমাণ ৭,৯২০ কোটি ডলারেরও বেশি। অথচ তার সন্তানেরা এখান থেকে কত পাবে জানেন? মাত্র ১ কোটি ডলার।
৩। প্রতি সেকেন্ডে বিল গেটস ২৫০ ডলার আয় করেন। সে হিসেবে বছরে তার আয় ৭.৮ বিলিয়ন ডলার।
৪। ৩০ বছর বয়সেই মিলিয়নিয়ার হতে চেয়েছিলেন গেটস। অথচ তিনিই কিনা ৩১ বছর বয়সেই হয়ে গেলেন বিলিয়নিয়ার।
৫। আব্রাহাম লিংকন, ওয়াল্ট ডিজনি, মার্ক জাকারবার্গ, হেনরি ফোর্ড, টমাস আলভা এডিসন আর স্টিভ জবসের সাথে বিল গেটসের মিল কোথায় জানেন? তাদের কারোরই কলেজ ডিগ্রি নেই।
৬। ১৯৭৭ সালে একবার হাজতে যেতে হয়েছিল তাকে। কারণ আর কিছুই না। ট্র্যাফিক সিগন্যালের লাল বাতিকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে গাড়ি চালানো আর কোন ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকা।
৭। ২০০৪ সালে এক ভবিষৎবাণী করে বসলেন বিল গেটস। বললেন, আগামী দুই বছরের মধ্যে ইমেইলে স্প্যাম সমস্যা আর থাকবে না। তার ভবিষৎবাণী সত্যিই হলে খুব একটা মন্দ হতো না।
৮। বিল গেটসও স্যাট পরীক্ষা দিয়েছিলেন। ১৬০০ এর মধ্যে তার স্কোর ছিল ১৫৯০।
৯। এখন পর্যন্ত বিল গেটস প্রায় ২৮ বিলিয়ন ডলার দান করেছেন।
১০। প্রতি বছর বাড়ির ট্যাক্স বাবদ ১০ লাখ ডলারের বেশি পরিশোধ করেন গেটস।
১১। বিল গেটসের মতে, ২০৩৫ সালের মধ্যে বিশ্বে বলার মতো আর কোন গরিব দেশ থাকবে না।
১২। প্রতিদিন ১০ লাখ ডলার করে খরচ করলেও বিল গেটসের সম্পদ শেষ হতে সময় লাগবে ২১৮ বছর।
১৩। একবার স্টিভ জবস বলেছিলেন, বিল গেটস অ্যাপলের পণ্য থেকে নকল করে উইন্ডোজ তৈরি করেছেন। এর জবাবে জবসকে বিল গেটস বলেন, “আমার মনে হয় ব্যাপারটা অনেকটা এরকম। জেরক্স নামে আমাদের এক ধনী প্রতিবেশী ছিল। একদিন আমি তার বাসায় দরজা ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করলাম টিভি চুরি করতে। গিয়ে দেখি তুমি ইতোমধ্যেই সেটি চুরি করে নিয়ে গেছ।”
১৪। প্রতি বছর বিল গেটস বৈশ্বিক স্বাস্থ্য খাতে যে পরিমাণ অর্থ ব্যয় করেন, তার পরিমাণ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ব্যয়িত অর্থের থেকে বেশি।