Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

musfiq-amlaওয়ানডেতে বাংলাদেশ এখন শক্তিশালী দল। পাকিস্তান, ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজ জিতে ইতিমধ্যে সেটা প্রমাণ করেছেন টাইগাররা। কিন্তু টেস্টে বরাবরই দুর্বল বাংলাদেশ। বিশেষ করে বড় দলগুলোর বিপক্ষে। ৯১টি টেস্ট খেললেও বড় দলের বিপক্ষে বাংলাদেশের কোনো জয় নেই। এমন পরিসংখ্যানকে সামনে রেখে টেস্ট র‌্যাংকিংয়ের এক নম্বর দল দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে আজ মাঠে নামবে বাংলাদেশ। সকাল সাড়ে ৯টায় শুরু হবে ম্যাচটি। সরাসরি সম্প্রচার করবে বিটিভি, গাজী টিভি ও স্টার স্পোর্টস-১।

২০০২, ২০০৩ ও ২০০৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মোট আটটি টেস্ট খেলেছে বাংলাদেশ। একটিতেও জয় নেই। ফলোঅন করে ইনিংস ব্যবধানে হেরেছে অধিকাংশ টেস্ট। গেল ৭ বছরে অনেক কিছুরই পরিবর্তন হয়েছে। বাংলাদেশ এখন আর ফলোঅন করে ইনিংস ব্যবধানে হারার মতো দল নেই।

chardike-ad

সর্বশেষ ভারতের বিপক্ষে ড্র করেছে বাংলাদেশ। তার আগে পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে রেকর্ড গড়ে ড্র করেছে। দ্বিতীয় টেস্টে অবশ্য নির্বাচকদের অদূরদর্শীতার কারণে হেরেছে। এখন দেখার বিষয় দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে কেমন করে বাংলাদেশ।

তবে ভালো করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন বাংলাদেশ টেস্ট দলের অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম, ‘আমাদের দলে ইমরুল, মুমিনুল, রিয়াদ (ভাই) ফিরেছেন। ওদের বিপক্ষে ব্যাটিংয়ে আমরা বেশ দৃঢ়তা দেখাতে পারব। আমাদের ব্যাটিং বিভাগ যদি পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলতে পারে তাহলে এই টেস্টেও আমরা ভালো করতে পারব। ব্যাটসম্যানদের সেই সামর্থ্য আছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘আগের ম্যাচগুলো ড্র করায় মুমিনুল ও ইমরুলের অনেক অবদান আছে। আমি আশা করব, ইমরুল যেভাবে রান করছে সেটা সে ধরে রাখবে। শেষ তিন-চারটা টেস্টের পাঁচটা ইনিংসে দুই-তিনটা সেঞ্চুরি আছে ওর। মুমিনুল শেষ ১০/১২ টেস্টে একাধিক ফিফটি ও সেঞ্চুরি করেছে। সবাই চাইবে ওরা যেন ওদের দায়িত্ব ঠিকভাবে পালন করে। বড় ইনিংস খেলে। আর আমরা যারা আছি তারাও চেষ্টা করব বড় ইনিংস খেলার।’

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বাংলাদেশ প্রথম টেস্ট খেলেছিল ২০০২ সালে। হাবিবুল বাশার, খালেদ মাসুদ, মোহাম্মদ রফিকরা সেই ম্যাচে হেরেছিলেন ইনিংস ও ১০৭ রানের ব্যবধানে। ২০০৮ সালে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ স্টেডিয়ামে বাংলাদেশকে সবচেয়ে বড় ব্যবধানে হারিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। ইনিংস ও ২০৫ রানের ব্যবধানে। ২০০৩ সালে চট্টগ্রামে আরেকটি টেস্টে বাংলাদেশ হেরেছিল ইনিংস ও ৬০ রানে।

এবার সেই চট্টগ্রামে ইতহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটবে নাকি টেস্ট জিতে নতুন ইতিহাস গড়বে বাংলাদেশ, সেটাই এখন দেখার বিষয়। ওয়ানডের মতো সাফল্য যেন টেস্টেও আসে সেই প্রত্যাশা ক্রিকেটপ্রেমী টাইগার সমর্থকদের। (রাইজিংবিডি)