মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে দ. আফ্রিকার বিপক্ষে টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। তবে টাইগারদের ব্যাটিং ব্যর্থতায় মাত্র ১৬০ রানেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশের ইনিংস। সাকিব আল হাসান এবং শেষ দিকে নাসির হোসেন ছাড়া কেউ উইকেটে থিতু হতে পারেননি।
শুরু থেকেই ব্যাট করতে নেমে একেরপর এক উইকেট হারিয়ে রীতিমত কোণঠাসা হয়ে পড়ে বাংলাদেশ। পেসারদের পাশাপাশি স্পিনারদের খেলতেও হিমশিম খায় টাইগাররা । ইনিংসের চতুর্থ ওভারে রাবাদা হ্যাট্রিক করেন। চতুর্থ এবং পঞ্চম বলে তামিম ইকবাল এবং লিটন দাসকে বোল্ড করেন এই প্রোটিয়া বোলার। শেষ বলে মাহমুদউল্লাহকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে অভিষেক ম্যাচেই হ্যাট্রিক করার গৌরব অর্জন করেন রাবাদা।
এর আগে অভিষেকে হ্যাট্রিক করার একমাত্র কৃতিত্ব ছিল বাংলাদেশের স্পিনার তাইজুল ইসলামের। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিনি এই গৌরব অর্জন করেছিলেন।
৪০ রানে চার উইকেট পড়ে যাওয়ার পর বাংলাদেশ দুই অভিজ্ঞ কাণ্ডারি সাকিব আল হাসান এবং মুশফিকুর রহিমের ব্যাটে প্রাথমিক চাপ সামলে নেন। তবে দলীয় ৯৩ রানে ডুমিনির বলে ইমরান তাহিরের হাতে লংঅনে ক্যাচ দিয়ে ফিরিয়ে আসেন মুশফিকুর রহিম।
মুশফিকের বিদায়ের পর বাংলাদেশ আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। ২৩তম ওভারে ক্রিস মরিসের বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরত আসেন সাব্বির রহমান। ২৬তম ওভারের প্রথম বলেই ইমরান তাহিরের বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়ে সাজঘরে ফেরেন সাকিব আল হাসান। মাত্র ২ রানের জন্য অর্ধশতক মিস করেন পৃথিবীর সেরা অলরাউন্ডার। ৫১ বলে ৫টি চারে ৪৮ রান করেন সাকিব।
২৯তম ওভারে রাবাদা ব্যাক্তিগত পঞ্চম উইকেটের দেখা পান। বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফিকে উইকেটরক্ষক দি ককের ক্যাচে পরিণত করেন। রাবাদার পরের ওভারেই জুবায়ের হোসেনকে বোল্ড করে সাজঘরে ফেরান। শেষ দিকে নাসির হোসেনের দৃঢ়টায় দেড়শত রানের কোঠা পাড় করে বাংলাদেশ। তবে ৩৭তম ওভারে নাসির মরিসের বলে বোল্ড হয়ে গেলে শেষ হয়ে যায় বাংলাদেশের ইনিংস। ৪৪ বলে ৩টি চার এবং একটি ছক্কায় ৩১ রান করেন নাসির।
দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে অভিষেকে সেরা বোলিং রেকর্ড এখন রাবাদার। মাত্র ১৬ রানে ৬ উইকেট নেন এই পেসার। এছাড়া ক্রিস মরিস নেন দুটি উইকেট।
এর আগে সকাল থেকে টানা বৃষ্টি হওয়ায় বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যকার প্রথম ওয়ানডের খেলা শুরু হতে দেরি হয়। বিকেল ৫টা ৪০ মিনিটে খেলা মাঠে গড়ায়। নির্ধারিত সময়ে খেলা শুরু না হওয়ায় ডার্ক ওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে খেলা ৪০ ওভারে নামিয়ে আনা হয়।