বাংলাদেশ সময় বুধবার সন্ধ্যা ৭টা ১৫ মিনিটে যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ক্যারোলিনায় ডিউক মেডিকেল হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এই বিশিষ্ট ব্যবসায়ী উদ্যোক্তা। তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ ডায়াবেটিক ও হৃদরোগে ভুগছিলেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স ছিল ৭৬ বছর।
শারীরিক অসুস্থতার জন্যে একমাস যাবৎ তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। আমজাদ খান চৌধুরী স্ত্রী, দুই ছেলে, দুই মেয়ে ও নাতি-নাতনীসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
আমজাদ খানের ছোট ছেলে ও প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক আহসান খান চৌধুরী তার বাবার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন। একই সঙ্গে তিনি বাবার বিদেহী আত্মার জন্য সকলের কাছে দোয়া চেয়েছেন।
আহসান খান জানান, শারীরিক অসুস্থতার জন্যে বিগত এক মাস যাবৎ তার বাবা আমজাদ খান যুক্তরাষ্ট্রের ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তার বাবার মৃতদেহ যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশে আনার পর ঢাকায় সামরিক কবরস্থানে সমাহিত করা হবে।
আমজাদ খান চৌধুরী ১৯৩৯ সালে নাটোরে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম আলী কাশেম খান চৌধুরী। আমজাদ খান চৌধুরী শিক্ষা জীবন শুরু করেন ঢাকায়। গ্র্যাজুয়েশন করেন পাকিস্তান মিলিটারি একাডেমি ও অস্ট্রেলিয়ান স্টাফ কলেজ থেকে।
১৯৫৬ সালে তিনি পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। কর্মজীবনে তিনি সেনাবাহিনীর মেজর জেনারেল পদে দায়িত্ব পালন করেন। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী থেকে অবসরের পর ১৯৮১ সালে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ।
আমজাদ খান চৌধুরী বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্যিক সংগঠন রিহ্যাব, বাপা, ইউসেপসহ বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতিরও দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়াও দীর্ঘদিন তিনি মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি হিসেবে ব্যবসায়িক সম্প্রদায়ের নেতৃত্বও দিয়েছেন।
দেশের অসংখ্য বেকারের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে আমজাদ খান চৌধুরী দেশের বেসরকারি সেক্টরে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। কৃষি ও কৃষিজাত পণ্যের বহুমূখী ব্যবহার এবং এ শিল্পের মাধ্যমে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনে তিনি অগ্রণী ব্যক্তিত্ব হিসেবে বিশেষভাবে পরিচিত। সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রেও তার অবদান স্মরণীয়।