শুরুতেই দুই ওপেনারের বিদায়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। তবে তাদের বিদায়ের পর সাকিব-মুশফিকের ব্যাটে কিছুটা আশা জাগে টাইগারদের। তবে দলীয় ৫০ রানে মুশফিক বিদায় নিলে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি টাইগাররা। একের পর এক উইকেট হারিয়ে ১৮.৫ বলে মাত্র ৯৬ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। সর্বোচ্চ ২৭ রান আসে সাকিবের ব্যাট থেকে। এছাড়া লিটন ২২ এবং মুশফিক ১৭ রান করেন। দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে ডুমিনি, উইসিস এবং রাবাদা দুটি করে উইকেট নেন।
এর আগে টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকা। খেলার শুরু থেকেই টাইগারদের স্পিনে ব্যাট করতে রীতিমত হিমশিম খাচ্ছিল প্রোটিয়ারা। চতুর্থ ওভারেই দুই ওপেনারকে হারিয়ে বিপদে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা শিবির। তবে অধিনায়ক ডু প্লেসিস দলের আরেক নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান জেপি ডুমিনিকে নিয়ে প্রাথমিক বিপদ সামলে নেন। ৪৬ রানের জুটি গড়ে ডুমিনি আউট হবার আগে করেন ১৮ রান। তবে একপ্রান্তে নির্ভরতার সঙ্গে খেলে ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ অর্ধশতক তুলে নেন প্রোটিয়া অধিনায়ক ডু প্লেসিস। শেষপর্যন্ত অপরাজিত থেকে ৬১ বলে ৭৯ রান করেন এই প্রোটিয়া। তার ইনিংসটি ৮টি চারে সাজানো। এছাড়া শেষ দিকে রিলে রুশো ২১ বলে দুটি চার এবং দুটি ছক্কায় করেন ৩১ রান।
প্রায় ১০ মাস পর খেলতে নেমে দলকে হতাশ করেন সোহাগ গাজী। দুই ওভারে ১৬ রান দিয়ে উইকেট শুন্য থাকেন এই অলরাউন্ডার। বাংলাদেশের পক্ষে ১৯ রানে দুই উইকেট নিয়ে সেরা বোলার আরাফাত সানি। এছাড়া নাসির ও সাকিব একটি করে উইকেট নেন।