Search
Close this search box.
Search
Close this search box.

dronক্রিকেটে প্রযুক্তি নিয়ে আসায় দক্ষিণ আফ্রিকা দলের বাড়তি সুনাম আছে। ড্রেসিংরুমে কোচ বব উলমার আর মাঠে অধিনায়ক হানসি ক্রনিয়ে সার্ব​ক্ষণিক শলাপরামর্শ করতেন বেতার প্রযুক্তির মাধ্যমে। এমনটাও যে করা যায়, কেউ ভাবেনি আগে!

সেই দক্ষিণ আফ্রিকা দল এবার বাংলাদেশ সফরে একটা ড্রোন এনেছিল সঙ্গে করে। পাকিস্তান-আফগানিস্তানের সৌজন্যে ড্রোন শুনলেই অনেকেই হয়তো আঁতকে ওঠেন। পাইলটবিহীন বিমান দিয়ে জঙ্গিদের ওপর বোমা হামলা চালিয়েই তো আলোচনায় এল এই ড্রোন। তবে সব ড্রোনের কাজই তো আর বোমা ফেলা নয়। দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দল যেটি ব্যবহার করছে, তাতে বসানো আছে ক্যামেরা।

chardike-ad

গতকাল মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে দক্ষিণ আফ্রিকা দলের অনুশীলনের সময় শূন্যে ভেসে বেড়াতে দেখা গেছে এই ড্রোনটিকে। কিন্তু বাংলাদেশের নিরাপত্তাজনিত আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘন এটি। গত ডিসেম্বরে বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ জাতীয় ও সাধারণ নিরাপত্তার স্বার্থে বিনা অনুমতিতে যেকোনো ধরনের অনুল্লিখিত শূন্যে ভাসমান যন্ত্রের ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে। দক্ষিণ আফ্রিকা দলকে ড্রোনটি ব্যবহার করার জন্য লিখিত অনুমতি নেওয়া উচিত ছিল।

দক্ষিণ আফ্রিকা দল জানিয়েছে, বাংলাদেশে যে এমন একটা আইন আছে, তা তারা জানত না। জানলে অবশ্যই আগে থেকে অনুমতি নিত। তবে তার পরও দক্ষিণ আফ্রিকা দলের পক্ষ থেকে আইন ভঙ্গ করায় ক্ষমা প্রার্থনা করা হয়েছে।

দলের ম্যানেজার মোহামেদ মুসাজি বলেছেন, ‘ইউটিউব চ্যানেলে যেন আরও দারুণ কিছু ছবি আমরা দিতে পারি এ কারণে আমাদের দলের একজন টিভি ক্রু এই ড্রোনটা এনেছে। আমরা জানতাম না বাংলাদেশের আকাশ সীমার আইনে এটি ব্যবহার করা অন্যায়। জানা মাত্রই আমরা সেটি ব্যবহার করা বন্ধ করে দিয়েছি। বাংলাদেশ সামরিক বাহিনী এবং নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে আমরা ক্ষমা চাইছি যদি এ কারণে কোনো অসুবিধার সৃষ্টি হয়ে থাকে।’
সূত্র: এএফপি।